মোহনবাগান দল। — ফাইল চিত্র।
আইএসএলের ফাইনাল হতে বেশ কিছুটা দেরি। কিন্তু মোহনবাগানের কাছে ‘ফাইনাল’ সোমবার। ওই দিনই মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে আইএসএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। সেটি জিতলেই লিগ-শিল্ড জিতবে সবুজ-মেরুন। অতীতে আইএসএলের ট্রফি জিতলেও লিগ-শিল্ড কখনও জেতেনি তারা। তাই সোমবারের ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে চাইছে মোহনবাগান। ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা ইতিমধ্যেই চরমে উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, সেই ম্যাচে হাজির থাকতে পারেন লখনউ সুপার জায়ান্ট দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস, দু’টি দলেরই মালিক শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কা। আইএসএলের সূচি অনুযায়ী মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচ ছিল রবিবার। পরে আইপিএলের সূচি ঘোষণার পর দেখা যায় ওই দিনই কলকাতা-লখনউ ম্যাচ পড়েছে। নিরাপত্তার একটা সমস্যা তখনই হয়েছিল। সে কারণেই মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয় এক দিন। রবিবার আইপিএলের ম্যাচ খেলে সোমবার যুবভারতীতে কেএল রাহুল, নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টোইনিস, কুইন্টন ডি’কককে দেখা যেতে পারে। মালিক গোয়েন্কা তো থাকছেনই।
শনিবার থেকে অফলাইনে টিকিট ছাড়ার পর থেকেই সাড়া পড়ে গিয়েছে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে। কেউ এই ম্যাচ ছাড়তে রাজি নন। মোহনবাগান ফুটবলারেরাও চান ভর্তি মাঠে খেলতে। শনিবার থেকে যুবভারতীর বক্স অফিস এবং মোহনবাগান মাঠ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দু’জায়গাতেই দেখা গিয়েছে সমর্থকদের লম্বা লাইন। বেশির ভাগ টিকিটের দাম আগেই কমিয়ে ৫০ এবং ১০০ টাকার রাখা হয়েছে। মোট ৬০ হাজার টিকিট থাকছে।
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে জয় মোহনবাগানকে যতটা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, সেটাই তাদের শেষ লিগ ম্যাচে দারুণ ভাবে কাজে লাগবে বলে মনে করেন দলের মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপা। আইএসএলের ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা যথেষ্ট উজ্জীবিত। লিগ-শিল্ড জিততে আর একটা জয় দরকার। ম্যাচটা হবে আমাদের ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে। সাফল্য উদ্যাপন করার এটাই সবচেয়ে ভাল সুযোগ।”
তবে চাপ যে থাকবে, এটা মেনে নিয়েছেন অনিরুদ্ধ। বলেছেন, “চাপ সব সময়ই থাকে। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে খেলব। প্রথম লিগ-শিল্ড জেতার সুযোগ আমাদের কাছে। প্রত্যেক সমর্থকই জয় দেখতে চান। আশা করি প্রায় ৬০ হাজার মানুষ গ্যালারিতে থাকবে। সব মিলিয়ে আমরা চাপে থাকব। সে রকমই পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।”
মুম্বইয়ের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে অনিরুদ্ধের মতোই উত্তেজিত দলের সেন্টারব্যাক আনোয়ার আলিও। মোহনবাগানের রক্ষণে তিনি বড় ভরসা। বলেছেন, “আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। তার ফল আমরা গত ম্যাচেই পেয়েছি। সেই ম্যাচে জেতার পরেই লিগ-শিল্ডের দোরগোড়ায় চলে এসেছি। এ বার আমরা মুম্বই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।” মুম্বইয়ের দলের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে আনোয়ার বলেন, “মুম্বই সিটি এফসি-র প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল আমরা। কিন্তু নিজেরাও যথেষ্ট ভাল খেলছি। তাই দু’নম্বরে রয়েছি। লিগ-শিল্ড জেতার জন্য ওদের বিরুদ্ধে আপ্রাণ লড়াই করব।”
আইএসএলে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে আট বার। তার মধ্যে ছ’বার জিতেছে মুম্বই সিটি। দু’বার ড্র হয়েছে।