অভিনন্দন: গোলদাতা গার্নাচোর সঙ্গে ম্যানেজার টেন হ্যাগ। ছবি: রয়টার্স।
টানা দুটি ম্যাচে হারার পরে ঘুরে দাঁড়াল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার রাতে উলভারহ্যাম্পটনকে তারা হারাল ২-০ গোলে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এই জয়ের ফলে ইপিএলে প্রথম চারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বলও করে তুলল এরিক টেন হ্যাগের দল। প্রথম চারে থাকতে পারলে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে তারা। যা গত বার অর্জন করতে পারেনি ‘রেড ডেভিল্স’।
টেন হ্যাগের দল শেষ দুটি ম্যাচে ব্রাইটন এবং ওয়েস্ট হ্যামের কাছে হেরে গিয়েছিল। তার ফলে লিভারপুলের প্রথম চারে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। ম্যান ইউনাইটেডের ত্রাতা হয়ে উঠলেন সেই অ্যান্টনি মার্সিয়াল। যিনি টেন হ্যাগের কোচিংয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ৩২ মিনিটে প্রথম গোল করেন মার্সিয়ালই। তার পর স্টপেজ টাইমে গোল করেন আলেসান্দ্রো গার্নাচো।
টেন হ্যাগের কোচিংয়ে ফের তারকা হয়ে ওঠা মার্কাস র্যাশফোর্ড চোটের জন্য খেলতে পারেননি। একটা সময় সত্যিই তাঁর অভাব খুব অনুভূত হচ্ছিল। তখন একটার পর একটা গোলের সুযোগ নষ্ট করছিল ম্যান ইউ। বিশেষ করে অ্যান্টনি মার্সিয়াল গোল করলেও প্রচুর সুযোগও নষ্ট করলেন। নিশ্চয়ই খুব স্মরণীয় হয়ে থাকার রাত নয় এটা তাঁর কাছে। তা সে যতই স্কোরলাইনে তাঁর নাম লেখা থাকুক।
ইপিএল টেবলে এই মুহূর্তে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ম্যান ইউ। সম পরিমাণ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে নিউক্যাসল। ৬২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে লিভারপুল। তিনটি দলই ৩৫টি করে ম্যাচ খেলেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে বিতর্কবিদ্ধ ম্যান ইউয়ের এ বারও আলো-আঁধারির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। খুব শাসন করার মতো ফুটবল তারা খেলছে। বাকি থাকা তিনটি ম্যাচে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলে শেষ বেলায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন না ফের ধাক্কা খায়। তবে গার্নাচোর ৯৪তম মিনিটের (স্টপেজ টাইমে চতুর্থ মিনিটে) গোল যে য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলকে পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এ দিকে দুঃসময় কাটছে না চেলসির। শনিবার ঘরের মাঠে তারা ২-২ ড্র করেছে নটিংহাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে। ৩৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে এগারো নম্বরে রয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল।