হতাশ: সতীর্থদের খেলায় বিরক্ত ব্রুনো। নটিংহ্যামে। ছবি: রয়টার্স।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ২৫ শতাংশ শেয়ার কিনে ব্রিটিশ ধনকুবের জিম র্যাটক্লিফ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ক্লাবে সুদিন নাকি ফিরবে। শুধু তার জন্য ধৈর্য ধরে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
কিন্তু অপেক্ষা কবে শেষ হবে বুঝতে পারছেন কেউ। শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব ১-২ হেরেছে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছেও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যারা ১৫ নম্বরে। শুধু তাই নয়, ম্যান ইউকে এই ক্লাব হারিয়েছে ১৯৯৪ সালের পরে প্রথম। আর ১৯৩০ সালের পরে কখনও লিগে এত খারাপ শুরু হয়নি রেড ডেভিলসের। অবিশ্বাস্য ভাবে মরসুমেও ১৪টি ম্যাচ তারা হেরেছে।
এরিক টেন হ্যাগের দলের অগোছাল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে নটিংহ্যাম নিজেদের মাঠে ৬৪ মিনিটে ১-০ করে দেয় নিকোলাস ডোমিনগুয়েজ়ের সৌজন্যে। ১২ মিনিট পরে সমতা ফেরান মার্কাস র্যাশফোর্ড। কিন্তু চার মিনিট পরে আবার পিছিয়ে যায়। এ বার গোল করেন নটিংহ্যামের মরগ্যান গিবস-হোয়াইট। সে গোল আর শোধ করতে পারেননি ব্রুনো ফার্নান্ডেজ়রা।
পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে টেন হ্যাগের চাকরি যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন ফুটবল লিখিয়েরা। আয়াখস আমস্টারডামে দারুণ সফল এই ডাচ কোচ নিজেও বলেছেন, ‘‘এমন হার অত্যন্ত হতাশার। প্রথমার্ধেই ম্যাচটা হেরে যাই। ছেলেরা তো চেষ্টাই করছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য তুলনায় ভাল খেলেছে। ফুটবলাররাও ভেঙে পড়েছে এই হারে। পরে বুঝছে, আরও ভাল খেলার কথা ছিল।’’
১৮৮৯-’৯০-এর পরে প্রথম বার ম্যান ইউ লিগে ২০ ম্যাচের মধ্যে ন’টিতে হারল। ক্লাবের ইতিহাসে এই রকম বিরল পরিণতিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমর্থকেরা। সমাজমাধ্যমে টেন হ্যাগকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রবল হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও গ্রুপ পর্য়ায় থেকে বিদায় নিয়েছে ম্যান ইউ। আর লিভারপুলের কাছে লিগে ০-৪ হারের পরে রয় কিনের মতো প্রাক্তনীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘রাগ নয়, দুঃখ হচ্ছে। আমরা যে ম্যান ইউয়ে খেলেছি তার সঙ্গে এই দলের কোনও মিল নেই। এখনকার ছেলেরা লড়াইটাই করছে না। এই ম্যান ইউ আমার ক্লাব নয়।’’
এ দিকে, রবিবার ইপিএলে আরও অঘটন ঘটল। আবার হেরেছে আর্সেনাল। এ বার ফুলহ্যামের কাছে ১-২ গোলে। আর্সেনাল খেলার পাঁচ মিনিটে বুকায়ো সাকার গোলে এগিয়ে যায়। ২৯ মিনিটে ১-১ করেন রাউল জ়িমেনেজ়। আধ ঘণ্টার পরে ২-১ করে দেন ববি ডে কর্ডোভা-রিড। পাশাপাশি টটেনহ্যাম হটস্পার অবশ্য ৩-১ হারিয়েছে বোর্নমাউথকে। স্পার্শের তিন গোলদাতা প্যাপে মাতার সার, সন-হিউন-মিন ও রিচার্লিসন। বোর্নমাউথের অ্যালেক্স স্কট ব্যবধান কমান ৮৪ মিনিটে।