মধ্যমণি: সিটির প্রথম গোল করে উচ্ছ্বসিত স্টার্লিং। ছবি: রয়টার্স
চব্বিশ ঘণ্টা আগে টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে লিভারপুল আটকে যাওয়ার পরেই ইপিএল খেতাবি লড়াই পেয়ে গিয়েছিল অন্য মাত্রা। রবিবার ঘরের মাঠে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ঝলসে উঠল। নিউক্যাসলকে পাঁচ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে চলে এল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ৩৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৬। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৮৩ পয়েন্ট লিভারপুলের।
সিটির হয়ে রবিবার জোড়া গোল করলেন রাহিম স্টার্লিং। তাঁর প্রথম গোল ১৯ মিনিটে। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে যান আইমেরিক লাপোর্তে। বিরতিতে ম্যান সিটি এগিয়েছিল ২-০ গোলে। পরে ৬১ মিনিটে রদ্রি, ৯০ মিনিটে ফিল ফডেন এবং সংযুক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন স্টার্লিং। অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনালও। তারা ২-১ হারিয়েছে লিডস ইউনাইটেডকে। জোড়া গোল করেছেন নেকেতিয়া। ৩৬ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে আর্সেনাল। এ দিকে, শনিবার লিভারপুল ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করার পরে পাল্টে যায় আবহ। ৫৬ মিনিটে সন হিউং-মিনের গোলে এগিয়ে যাওয়া আন্তোনিয়ো কন্তের দলের বিরুদ্ধে শেষরক্ষা করেছে লিভারপুল ৭৪ মিনিটে লুইস দিয়াজ়ের গোলে। মরসুমে চতুর্মুকুটের দৌড়ে থাকা জার্মান কোচের আফসোস, গত বছর অক্টোবরের পরে প্রথম বার অ্যানফিল্ডে পয়েন্ট নষ্ট হওয়ায়। তবে তিনি এখনও আশাহত হচ্ছেন না। ম্যাতের পরে ক্লপ বলেছেন, “আমাদের বুঝতে হবে, এই ড্রয়েই সব আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। মোটেই এটা এ বারের প্রিমিয়ার লিগে আমাদের শেষকৃত্য নয়। আমি ফুটবলারদেরও সেটাই বুঝিয়েছি। এমন কিন্তু নয় যে টটেনহ্যামকে হারিয়ে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধেও জিতলে আমাদের খেতাব জয়ের সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যেত।’’ ম্যাচের পরে ক্লপকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার কি মনে হয় ম্যান সিটিও পয়েন্ট নষ্ট করবে? লিভারপুল গুরুর জবাব, ‘‘আমি তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। উল্টোটা হলেই খুশি হতাম। কিন্তু মনে হয় না, তেমন কিছু হবে।
জয় বার্সেলোনার: আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবার দেখা যাবে বার্সেলোনাকে। শনিবার তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল বেতিসকে। রিয়াল মাদ্রিদ (৩৪ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট) ইতিমধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বার্সা ৩৫ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে। বাকি রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। যার সবকটি হারলেও জ়াভির দল প্রথম চারেই থাকবে। তিন ও চারে সেভিয়া (৩৪ ম্যাচে ৬৪) ও আতলেতিকো দে মাদ্রিদ (৩৪ ম্যাচে ৬১)। শনিবার বার্সার হয়ে গোল করেন চোট সারিয়ে ফেরা আনসু ফাতি। জয়ের গোল
জর্দি আলবার।