উৎসব: লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলের পরে সালাহ। ছবি: রয়টার্স।
চলতি মরসুমের ইপিএলে আর্সেনালকে হারানোর স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। রবিবার এতিহাদে ফিরতি সাক্ষাতের দ্বৈরথ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। ২৯ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল রইল দু’নম্বরে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ম্যান সিটি ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে। ঘরের মাঠে ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল।
ঘরের মাঠে এ দিন বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন আর্লিং হালান্ডরা, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি। যদিও ম্যাচের ফলে হতাশ নন পেপ গুয়ার্দিওলা। ম্যান সিটি ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘এখনও নয়টি ম্যাচ রয়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে।’’ আর্সেনাল ম্যানেজার মিকেল আর্তেতা-ও খুশি ম্যাচের ফলে। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যান সিটিকে তাদের ঘরের মাঠে রুখে দেওয়া দুর্দান্ত প্রাপ্তি। আমাদের দল অসাধারণ ফুটবল খেলেছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে।’’
শেষ ১০ মিনিটে টানটান উত্তেজনা থাকলেও ইপিএলে ব্রাইটনের বিরুদ্ধে লিভারপুলই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় পেল। এই ম্যাচের পরে য়ুর্গেন ক্লপের দলই ফেরে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষস্থানে উঠে আসে। পুরো ম্যাচে মহম্মদ সালাহদের ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভাল মতোই লড়াই করল পয়েন্ট টেবলে নবম স্থানে থাকা ব্রাইটন।
অ্যানফিল্ডে ৬৫ মিনিটে লিভারপুলকে জয়ের গোল উপহার দেন সালাহ। তবে কার্যত গোলের বল তাঁকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। এ দিন বেশির ভাগ আক্রমণই হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে।
রবিবার ব্রাইটন চমকে দেয় খেলা শুরু হতে না হতেই (২ মিনিটে) অসাধারণ শটে ড্যানি ওয়েলবেক ১-০ করে দেওয়ায়। ম্যাচে সমতা ফেরান লিভারপুলের সুযোগসন্ধানী তারকা লুইস দিয়াজ়। সেটা খেলার ২৭ মিনিটে। আর সালাহ বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে মোট ১১টি শট মারেন। যার একটাই মাত্র বিপক্ষের জালে জড়ায়।
ম্যাচের নায়ক অ্যালিস্টার বলেন, ‘‘খুবই কঠিন একটা ম্যাচ আমরা জিতলাম। এতটা কঠিন ম্যাচ জিতলে একটু বেশি আনন্দ হবেই। আমার সব চেয়ে ভাল লেগেছে সতীর্থদের মনোভাব। খেলার শুরুতেই আমরা ০-১ পিছিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমাদের একজনও লড়াই ছাড়েনি।’’