ছবি রয়টার্স।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনস
তিউনিশিয়া ০ মালি ১
ম্যাচের ৮৫ মিনিটেই বাজিয়ে দিলেন খেলা শেষের বাঁশি! সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হল না। লাল কার্ড দেখানো নিয়ে ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে অস্বীকার করলেন রেফারি। তার পরেও নাটক ছিল অব্যাহত। খেলা শেষ হওয়ার ২০ সেকেন্ড আগেই ম্যাচের ইতি টেনে দিলেন তিনি।
বুধবার তিউনিশিয়া বনাম মালি ম্যাচের সেরা বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে রয়ে গেলেন জ়াম্বিয়ার রেফারি ইয়ানি সিকাজ়োয়ে। খেলা শেষ হওয়ার পরে মাঠে ছুটে গিয়ে যাঁর হাত টেনে ধরেন তিউনিশিয়া দলের ম্যানেজার ম্যান্ডের কেবিয়ের। হাতের ঘড়ি দেখিয়ে জানতে চান, রেফারির কি আদৌ সময় সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রয়েছে? পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরাই ইয়ানিকে বার করে নিয়ে যান।
ম্যাচে দুই দলই দু’টি করে পেনাল্টি পেয়েছিল। তা থেকেই গোল করে মালিকে জয় এনে দেন ইব্রাহিমা কোনে। তিউনিশিয়া দুটি পেনাল্টিই নষ্ট করে। সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষিপ্ত কেবিয়ের বলেছেন, “এটা যে কী ধরনের রেফারিং, তা আাদের কাছে স্পষ্ট নয়। নির্ধারিত সময়ের আগে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানো হল। ভার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে অস্বীকার করলেন রেফারি! গোটা বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাব আফ্রিকা ফুটবল সংস্থাকে। আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে বলে মনে করি।”
ঘটনাচক্রে এই রেফারির বিরুদ্ধে অতীতে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগও ছিল। ২০১৮ সালে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচ গড়াপেটায় তাঁর প্রত্যক্ষ যোগ প্রমাণিত হয়েছিল। যে কারণে তাঁকে নির্বাসিতও করেছিল আফ্রিকা ফুটবল সংস্থা। এমনই বিতর্কিত চরিত্রকে কেন ফের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ দিকে, মঙ্গলবার নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে হারের পরে তোপের মুখে পড়েছেন মিশরের তারকা মহম্মদ সালাহ। ম্যাচে তিনি গোল করার মতো কোনও সুযোগও তৈরি করতে পারেননি। যা নিয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমর্থকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, একমাত্র লিভারপুলের জার্সিতেই সালাহ সবচেয়ে ভাল খেলেন। এই ধরনের স্বার্থপর ফুটবলারকে দলে রাখাই ভুল হয়েছে।