লুইস রুবিয়ালেস। ছবি: টুইটার।
ছেলে লুইস রুবিয়ালেসের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর মা অ্যাঞ্জেলেস বেজার। স্পেনের ফুটবল সংস্থার নিলম্বিত (সাসপেন্ড) সভাপতিকে কটূক্তি, অপমান থেকে রক্ষা করতে অনশন শুরু করেছেন একটি গির্জায়।
মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের পরে চুমু-বিতর্কের ফলে নিয়মিত নানা রকম কটূক্তি শুনতে হচ্ছে রুবিয়ালেসকে। হতে হচ্ছে অপমানিত। এ সব বন্ধ করতেই অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর মা।
ছেলেকে ক্রমাগত নানা ভাবে হেনস্থা হতে দেখে প্রতিবাদের এই পথ বেছে নিয়েছেন বেজার। দক্ষিণ স্পেনের মট্রিলের ডিভিনা পাস্তোরা গির্জায় নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করেছেন ৭১ বছরের বৃদ্ধা। জানিয়েছেন, যত দিন না তাঁর ছেলের অপমান, হেনস্থা বন্ধ হবে তত দিন অনশন চালাবেন। থাকবেন স্বেচ্ছাবন্দিও। এক দানা খাবারও দাঁতে কাটবেন না। অভিযোগের যথাযথ তদন্তের দাবি করেছেন। বেজারের বিশ্বাস তাঁর ছেলে কোনও ষড়যন্ত্রের শিকার। স্পেনের মহিলা ফুটবলার জেনিফার এরমোসো সত্য বলছেন না বলেও দাবি করেছেন রুবিয়ালেসের মা। তাঁর ছেলে নির্দোষ বলেই মনে করেন তিনি। ছেলে সুবিচার পাবে বলেও আশাবাদী তিনি। স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘‘জানি না হঠাৎ কেন আমার ছেলের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এর পিছনে নিশ্চিত ভাবে অন্য গল্প রয়েছে। রুবিয়ালেস তো কারও ক্ষতি করেনি।’’
গির্জায় অনশন শুরু করার পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলছেন বেজার (বাঁদিকে)। ছবি: টুইটার।
পরিবারের অন্য সদস্যেরা এক চিকিৎসককে নিয়ে বেজারের কাছে গিয়েছিলেন রবিবার দুপুরে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক চিকিৎসকও। কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বৃদ্ধা। বেশ কিছু ক্ষণ গির্জার দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পর খোলেন বেজার। কিন্তু দু’একটি কথা বলেই ভিতরে চলে যান। রবিবার সকালে গির্জা পরিষ্কার করার সময় ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন বেজার। সাফাই কর্মী কোনও কাজে বাইরে যেতেই ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
স্পেন বিশ্বকাপ জেতার পরে এরমোসোর ঠোঁটে রুবিয়ালেসের চুমু খাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রুবিয়ালেসের দাবি, এরমোসোর ইচ্ছেতেই চুমু খেয়েছিলেন। এরমোসোর পাল্টা বক্তব্য, তিনি চুমু খাওয়ার সম্মতি দেননি ফুটবল সংস্থার সভাপতিকে। এই ঘটনায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, স্পেনের ফুটবল কর্তাকে নিলম্বিত করা হয়েছে। স্পেনের ফুটবল সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না তিনি। আপাতত ৯০ দিনের জন্য এই ব্যবস্থা।