জোড়া গোল লুইস দিয়াজের। ছবি: রয়টার্স।
এই মরসুমেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের শুরুটা ভাল হল না। রবিবার লিভারপুলের বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হার। সেটাও আবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। ঘরের মাঠে দিশাহীন ম্যাঞ্চেস্টারের রক্ষণ। জোড়া গোল লিভারপুলের লুইস দিয়াজের।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। ৭ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শুরু করেছিলেন ভ্যান ডিহিক। তাঁর পাস বুঝিয়ে দিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড মাঝমাঠের দখল নিতে পারেনি। রিয়ান গ্র্যাভেনবার্ক সেই বল যখন ধরলেন, তখন তিনি বিপক্ষের রক্ষণে ঢুকে পড়েছেন। বল পেয়েই ডানদিকে দিয়াজকে দিয়ে দেন তিনি। ক্রস তোলেন কলোম্বিয়ার ফুটবলারটি। লক্ষ্য ছিল মহম্মদ সালাহ। তিনি বল পাস করেন অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডকে। জোরালো শট নিয়েছিলেন তিনি। গোলের ভিতর থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ম্যাঞ্চেস্টারের ডিফেন্ডার। কিন্তু সালাহ অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
তবে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। ৩৫ মিনিটের মাথায় গোল করেন দিয়াজ। ক্রস তুলেছিলেন সালাহ। ম্যাঞ্চেস্টারের ডিফেন্স তখন ভুলেই গিয়েছিল দিয়াজকে আটকানোর কথা। রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সময় যে ক্যাসেমিরো বিপক্ষের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতেন, কিছুটা তাঁর ভুলেই ক্রস তোলার সুযোগ পেয়ে যান সালাহ। সেখান থেকে হেডে গোল করতে ভুল করেননি দিয়াজ।
দ্বিতীয় গোলটিও দিয়াজের। ৪২ মিনিটের মাথায় লিভারপুলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। এই গোলের ক্ষেত্রে দোষ অবশ্যই ক্যাসেমিরোর। তাঁর পা থেকে বল ছিনিয়ে নেন দিয়াজ। তাঁর গোলমুখী শট আটকাতে ব্যর্থ হন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। সেই সময় লিভারপুল একের পর এক শট নিচ্ছিল গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু আর জালে জড়াতে পারেনি। ম্যাঞ্চেস্টারের রক্ষণের ফুটবলারেরা বুঝতেই পারছিলেন না কী ভাবে আক্রমণ সামলাবেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্যাসেমিরোকে তুলে নেন এরিক টেন হ্যাগ। ২০ বছরের তরুণ টবি কলিয়েরকে। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ৫৬ মিনিটে গোলের ব্যবধানে বৃদ্ধি করেন সালাহ।
গোটা ম্যাচে কখনও মনে হয়নি ম্যাঞ্চেস্টার ম্যাচে ফিরতে পারবে। পারেওনি। তিনটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হেরে ১৪ নম্বরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুল তিনটির মধ্যে তিনটিতেই জিতে দ্বিতীয় স্থানে। ১৪ সেপ্টেম্বর ম্যাঞ্চেস্টারের চতুর্থ ম্যাচ। সাদাম্পটনের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। লিভারপুলের পরের ম্যাচ নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটিও ১৪ সেপ্টেম্বর।