উল্লাস: গোলের পরে লিভারপুলের নুনেজ়। ম্যাচের ফল ২-২। রয়টার্স
ইপিএল
ফুলহ্যাম ২ লিভারপুল ২
টটেনহ্যাম ৪ সাদাম্পটন ১
বুন্দেশলিগা
ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ১ বায়ার্ন মিউনিখ ৬
৬ অগস্ট: ২৩ বছরের উরুগুয়ে তারকা ডারউইন নুনেজ় প্রথম ম্যাচেই জিতে নিলেন সমর্থকদের মন। কিন্তু ইপিএলের প্রথম ম্যাচেই জোর ধাক্কা খেল য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হল ২-২ গোলে।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে মিত্রোভিচের গোলে এগিয়ে যায় ফুলহ্যাম। যিনি দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলও করেন ৭২ মিনিটে। বিরতির পরে ম্যাচের সমতা ফেরান নুনেজ়। ম্যাচ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে মহম্মদ সালাহর গোলে কোনও ক্রমে হার থেকেরক্ষা পায় লিভারপুল।
ম্যাচের পরে নিজের দলের সাদামাটা ফুটবল নিয়ে মুখ খোলেন ক্লপ। তিনি বলেছেন, “খুব বাজে একটা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ছি। গোটা ম্যাচে এটাই আমার কাছে সব চেয়ে বড় ইতিবাচক ঘটনা।” যোগ করেন, “প্রাক মরসুম সফরে দল যে ধরনের ফুটবল খেলেছল, তাতে মনে হয়েছিল, ইপিএলের শুরুটা ভাল হবে। কিন্তু প্রথমার্ধে আমার দলের খেলায় দিশা ছিল না। গোলের সামনে ফাঁকা জায়গা পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারিনি।” নবাগত নুনেজ় নিয়ে ক্লপের বিশ্লেষণ, “ও সবে ইপিএলে যোগ দিয়েছে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় কিছুটা লাগবে। কিন্তু তার পরেও যে ভাবে গোল করল এবং সালাহকে গোলের বল তৈরি করে দিয়েছে, সেটা প্রশংসনীয়।”
লিভারপুল প্রথম ম্যাচে আটকে গেলেও জয় দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারের। শনিবার তারা ৪-১ হারিয়েছে সাদাম্পটনকে। গোল করেন সেসেগনন, ডায়ার, সালিসু এবং কুলুসেভস্কি। প্রথম ম্যাচেবড় ব্যবধানে জয়ের পরে ম্যানেজার আন্তোনিয়ো কন্তে বলেছেন, “এই মরসুম আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলবে দল। তাই ইপিএলের প্রত্যেকটি ম্যাচকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
বিধ্বংসী বায়ার্ন: কে বলবেন, ‘গোলমেশিন’ রবার্ট লেয়নডস্কিকে ছাড়াই এ’মরসুমে খেলবে বায়ার্ন মিউনিখ! এ’বারের বুন্দেশলিগায় তাদের শুরুটা হল দুর্দান্ত ভাবে, আইনট্র্যাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টকে ৬-১ গোলে হারিয়ে। বার্সেলোনায় চলে যাওয়া লেয়নডস্কির জায়গায় উপযুক্ত বিকল্প হয়ে উঠবেন বলে যাঁকে মনে করা হচ্ছে, সেই লিভারপুলের প্রাক্তন সফল স্ট্রাইকার সাদিয়ো মানে জার্মান লিগে অভিষেকেই গোল পেলেন!
ম্যাচের পাঁচ মিনিটে ১-০ করে দেন জেসুয়া কিমিখ। ২-০ করেন বাঁজামা পাভা। মানের গোল ২৯ মিনিটে। দু’বার বিপক্ষ জালে বল জড়িয়ে দেন জামাল মুসিয়ালা, ৩৫ ও ৮৩ মিনিটে। বায়ার্নের পঞ্চম গোল স্যাজ ন্যাব্রির। খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোল করে যান মুসিয়ালা।