লাউতারো মার্তিনেস। ছবি: রয়টার্স।
আবার কোপা আমেরিকা জিতল আর্জেন্টিনা। লাউতারোর একমাত্র গোলে এল জয়। টানা দু’বার কোপা জিতে সবচেয়ে বেশি বার কোপা জেতার নজির তৈরি করল তারা।
অবশেষে এল সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। ১১২ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন লাউতারো মার্তিনেস। লো সেলসো মাঝমাঠ থেকে পাস দিয়েছিলেন লাউতারোকে। তিনি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান।
আরও ১৫ মিনিট পেলেও কোনও দল গোল করতে পারল না। শারীরিক ফুটবলের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে। দু’দলই সমানতালে ফাউল করছে।
আলভারেসের শট বাঁচিয়ে দিলেন কলম্বিয়ার গোলকিপার।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে বদলে গেল নিয়ম। এত দিন ৯০ মিনিটের পর সরাসরি টাইব্রেকার হয়েছিল। ফাইনালে আরও ৩০ মিনিট খেলা হবে।
বিপক্ষ গোলকিপারের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ফাঁকা গোল সামনে থাকলেও বল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সুযোগ নষ্ট করলেন দি মারিয়া।
নিকো গঞ্জালেসের হেড অল্পের জন্য বাইরে গেল। আর একটু হলেই এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা।
মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনার খেলা একটু ছন্নছাড়া লাগছে। আক্রমণ হচ্ছে কিন্তু তা দানা বাঁধছে না। এ বার আর্জেন্টিনাও পাল্টা মারের রাস্তা নিয়েছে। ফলে অনেক ফাউল হচ্ছে।
মেসিকে এই ভাবে আগে কখনও দেখা যায়নি। রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন তিনি। চোখ বেয়ে গড়িয়ে এল জল। কোনও মতে দু’হাত চাপা দিয়ে আটকালেও নিজেকে সামলাতে পারলেন না। পায়ের গোড়ালি অনেকটাই ফুলে গিয়েছে তাঁর।
চোট পেয়েছিলেন প্রথমার্ধেই। দৌড়তে গিয়ে আবার পুরনো জায়গাতেই চোট পেলেন মেসি। মাঠ ছাড়তে হল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে।
কলম্বিয়ার ফুটবলারকে ফাউল করার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখলেন তিনি।
আর্জেন্টিনার কোচ মেজাজ হারালেন। কলম্বিয়ার মারকুটে ফুটবল দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না।
বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বিপক্ষ গোলকিপার দি মারিয়ার শট বাঁচিয়ে দিলেন।
আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ হচ্ছে। তবে কোনও দলই প্রথমার্ধে গোল করতে পারল না। আর্জেন্টিনার থেকে কলম্বিয়া সুযোগ তৈরি করেছে বেশি। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেনি। আর্জেন্টিনা প্রচুর মিস্ পাস করেছে। বলও দখলে রাখতে পারছে না সে ভাবে।
বক্সের মধ্যে ড্রিবল করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মেসি। ক্রস করতে গিয়ে পড়ে গেলেন। পায়ে আঘাতও লেগেছে। মাঠে চিকিৎসা চলছে।
আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রোকে আঘাত করায় হলুদ কার্ড দেখলেন কর্ডোবা।
আর্জেন্টিনা আক্রমণ তৈরি করতে সময় নিচ্ছে। ফলে কলম্বিয়ার খেলোয়াড়েরা বল কেড়ে নিচ্ছেন।
দারুণ একটা মুভ তৈরি করেছিলেন মেসি। সতীর্থের সঙ্গে পাস খেলে গোলে শট নিয়েছিলেন। তবে বাঁচিয়ে দিলেন গোলকিপার।
পড়ুন নীচের লিঙ্কে: