বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিয়োনেল মেসি। ফাইল চিত্র
মাইল ফলকের থেকে এক ধাপ দূরে ছিলেন। শুক্রবার ভারতীয় সময় ভোর হতে না হতেই সেই মাইল ফলক স্পর্শ করে ফেললেন লিয়োনেল মেসি। ফুটবল জীবনে ক্লাব ও দেশের হয়ে সব মিলিয়ে ৮০০ গোল হয়ে গেল তাঁর। সামনে শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
পানামার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে ৮৯ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করেন মেসি। বুয়েনস এয়ার্সে আর্জেন্টিনা ২-০ ব্যবধানে জেতে। এই ম্যাচে অনেক আগেই ৮০০-র মাইল ফলকে পৌঁছে যেতে পারতেন মেসি। কিন্তু দু’বার তাঁর শট পোস্টে লাগে। সেই দু’টি শটও তিনি ফ্রিকিক থেকেই নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল হন। ৮৯ মিনিটে তাঁর শট পানামার গোলরক্ষক জোস কার্লোস গুয়েরার বাঁদিক দিয়ে গোলে ঢোকে।
গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর এটিই আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ছিল। বুয়েনস এয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে মেসিদের খেলা দেখার জন্য একটি আসনও খালি ছিল না। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে বিশ্বকাপ ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে গোটা আর্জেন্টিনা দল ছবি তোলে। মেসি, কোচ লিয়োনেল স্কালোনি-সহ অনেকেই তাঁদের পরিবার নিয়ে মাঠে আসেন।
এই ম্যাচে নামার আগে ৮০০ গোলের মাইল ফলকে পৌঁছতে মেসির একটিই গোল দরকার ছিল। গত শনিবার ফরাসি লিগে নান্তেসের বিরুদ্ধে পিএসজি-র হয়ে গোল করে ৭৯৯-এ পৌঁছেছিলেন তিনি। পর্তুগালের রোনাল্ডোর পর বিশ্বের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে ৮০০ গোল করলেন মেসি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই মাইল ফলকে পৌঁছেছিলেন রোনাল্ডো।
এই পরিসংখ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স অনুযায়ী। এই নিয়ে বিতর্ক আছে। পেলে একাধিক বার দাবি করেছিলেন, তাঁর ফুটবল জীবনে ১০০০-এর বেশি গোল আছে।
বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচে মেসির ৬৭২ গোল রয়েছে। পিএসজি-র হয়ে তিনি ৩০টি গোল করেছে। দেশের হয়ে মেসির ৯৮টি গোল রয়েছে। এর মধ্যে গত বিশ্বকাপে তিনি ৭টি গোল করে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।