না জানিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পিএসজি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইলেন মেসি। —ফাইল ছবি।
ক্লাবকে না জানিয়ে গত সোমবার ফ্রান্স ছেড়ে ছিলেন লিয়োনেল মেসি। স্ত্রী, পুত্রদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। অনুমতি না নিয়ে প্যারিস ছাড়ায় মেসিকে দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করেছিল প্যারিস সঁ জরমঁ। সেই অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মেসি জানিয়েছেন, ভেবে ছিলেন ছুটি থাকবে। সফরের পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে বাতিল করা সম্ভব হয়নি। সৌদি থেকে প্যারিস ফিরে গিয়েছেন মেসি। তিনি এক বার্তায় বলেছেন, ‘‘যা কিছু হয়েছে, তার জন্য এই বার্তাটা দিতে চেয়েছিলাম। প্রথমত আমি ক্লাব এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি। সত্যি বলতে ভেবেছিলাম আগের মতোই ম্যাচের পরের দিন ছুটি পাব। তাই সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করেছিলাম। আগে এক বার পরিকল্পনা করেও যেতে পারিনি। সফর বাতিল করতে হয়েছিল। যা করেছি, তার জন্য আবারও ক্ষমাপ্রার্থী আমি। এখন প্যারিসেই আছি। ক্লাবের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। আর কিছু বলতে চাই না। ভালবাসা থাকল।’’
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অনুযায়ী, দু’সপ্তাহ নির্বাসিত থাকবেন মেসি। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন না, কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না এবং তাঁকে এই দু’সপ্তাহের বেতনও দেওয়া হবে না। নির্বাসনের কারণে ত্রয়েস এবং আজাক্সিয়োর বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না মেসি। অনুশীলন করতে না দেওয়া এবং বেতন না দেওয়া মেসির প্রতি চূড়ান্ত অপমান বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির। অনেকের ধারণা, মেসি হয়তো পিএসজি-র হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ভবিষ্যতে ফরাসি ক্লাবের জার্সিতে তাঁকে আর না-ও দেখা যেতে পারে।
অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের একটি দৈনিকের দাবি অনুযায়ী, বছরে ৪০ কোটি ডলার বা ৩২৭০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে মেসি চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছেন সৌদির ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে। দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু আনুষ্ঠানিক সই পর্ব।