লিয়োনেল মেসি। —ফাইল ছবি।
আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে দু’টি ম্যাচ খেলেছেন লিয়োনেল মেসি। তিনটি গোলও করেছেন। সতীর্থদের তো বটেই, সদস্য-সমর্থকদেরও মন জয় করেছেন। নতুন ক্লাবের সতীর্থদের শুধু জয় ফেরাননি, তাঁদের দিয়েছেন বিশেষ উপহারও।
বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার সতীর্থদের সোনায় মোড়া আইফোন উপহার দিয়েছিলেন মেসি। প্রতিটি ফোনে বিশ্বকাপ ট্রফির ছবি, আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার লোগো, কাতার বিশ্বকাপের লোগো এবং উপহার প্রাপকের জার্সি নম্বর খোদাই করা ছিল।
ইন্টার মায়ামির সতীর্থদেরও বিশেষ ভাবে তৈরি হেডফোন উপহার দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ইন্টার মায়ামির জার্সির রঙের (গোলাপী এবং কালো) হেড ফোনে ছাপা রয়েছে ক্লাবের লোগো। ইন্টার মায়ামির রাইট ব্যাক ডিআন্দ্রে ইয়েডলিনকে মেসির উপহার দেওয়া হেডফোন ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। তা থেকেই জানাজানি হয়েছে বিষয়টি। পরে ইয়েডলিন বলেছেন, ‘‘দলের সবাইকে এই হেডফোন মেসি দিয়েছে। বলতে পারব না কিনে এনেছে না তৈরি করিয়েছে। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার আগেই মেসি সবাইকে এই হেডফোন দিয়েছে।’’
নতুন ক্লাবে গিয়ে প্রথম থেকেই সতীর্থদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মেসি। এর আগে অন্য এক সতীর্থকে ১৬ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন লিয়ো। সে দিন, ক্লাবের সদস্য, সমর্থকদের সঙ্গে মেসিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ডেভিড বেকহ্যামেরা। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানের। মেসিকে দেখার জন্য মায়ামি সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ ছিল। ফোর্ট লডারেবল স্টেডিয়ামের ২০ হাজার দর্শকাসনের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। টিকিট পাননি ক্লাবের ফুটবলারেরাই। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন মেসি।
প্রথমে ঠিক ছিল রবিবারের অনুষ্ঠানে সতীর্থদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে মেসিকে। পরে সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়। তবে মায়ামির অন্য ফুটবলারেরা চেয়েছিলেন মেসি-বরণ অনুষ্ঠানে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু টিকিটের চাহিদা থাকায় চেষ্টা করেও পাননি দলের অন্যতম স্ট্রাইকার লিয়োনার্দো ক্যাম্পানা। তিনি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছিলেন, ‘‘আমার একটা টিকিট দরকার। কারও কাছে কি আছে?’’ তিনি টিকিটের কথা লিখতেই মেসি লিখেছিলেন, ‘‘তোমার কতগুলো টিকিট দরকার?’’ তখনও ইন্টার মায়ামির অন্য ফুটবলারেরা জানতেন না মেসিকে যুক্ত করা হয়েছে। হঠাৎ মেসিকে লিখতে দেখে তাঁরা চমকে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার কথাও জানিয়েছিলেন ইয়েডলিন।