Emiliano Martínez and Kylian Mbappe

সেরার পুরস্কার মার্তিনেস নিতে ওঠার সময় কী করলেন এমবাপে? ঠান্ডা লড়াই কি এখনও চলছে?

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরই এমবাপেকে নানা রকম ভাবে অপমান করতে থাকেন মার্তিনেস। কখনও এমবাপেকে নিয়ে সাজঘরে গান, কখনও তাঁর পুতুল নিয়ে আর্জেন্টিনার রাস্তায় ঘোরা। তিনি পুরস্কার নেওয়ার সময় কী করলেন এমবাপে?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৫
Share:

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক মার্তিনেস পেলেন ফিফার সেরা গোলরক্ষক হওয়ার পুরস্কার। ছবি: রয়টার্স

মঞ্চে উঠছেন ফিফার বেছে নেওয়া সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। দর্শক আসনে তখন বসে কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে যে দুই ফুটবলার বার বার চর্চায় উঠে এসেছেন সেই মার্তিনেস এবং এমবাপে মুখোমুখি। দেখা হল তাঁদের। পুরস্কারের মঞ্চে ওঠা মার্তিনেসকে দেখলেন এমবাপে। কী মনে হচ্ছিল তখন ফ্রান্সের তরুণ তারকার?

Advertisement

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরই এমবাপেকে নানা রকম ভাবে অপমান করতে থাকেন মার্তিনেস। কখনও এমবাপেকে নিয়ে সাজঘরে গান, কখনও তাঁর পুতুল নিয়ে আর্জেন্টিনার রাস্তায় ঘোরা। সেই মার্তিনেস যখন ফিফার পুরস্কার নিচ্ছেন, বক্তব্য রাখছেন, তখন এমবাপের মুখ থমথমে। ভাবলেশহীন। মার্তিনেসের সঙ্গে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন মরক্কোর ইয়াসিন বুনো এবং বেলজিয়ামের থিবো কুর্তোয়া। তাঁদের হারিয়েই সেরা হন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক মার্তিনেস।

ফাইনালে মার্তিনেসের দাপটেই টাইব্রেকারে জেতে আর্জেন্টিনা। বিভিন্ন রকম কাণ্ড করে ফ্রান্সের ফুটবলারদের চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এমবাপে পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় তিনি রেফারির কাছে বার বার অভিযোগ করছিলেন, বল ঠিক জায়গায় বসানো হয়েছে কি না তা দেখার। প্রথম বার রেফারি পাত্তা না দিলেও কোম্যানের পেনাল্টির আগেও মার্তিনেস একই অভিযোগ করায় রেফারি দেখতে গিয়েছিলেন ঠিক জায়গায় বল বসানো হয়েছে কি না। ঠিক তখনই কোম্যানের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন মার্তিনেস। তাঁর মুখের সামনে গিয়ে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তাতে কিছুটা হলেও মনোযোগ নষ্ট হয়েছিল কোম্যানের। তাঁর নেওয়া শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেস।

Advertisement

চুয়ামেনি ফ্রান্সের হয়ে তৃতীয় পেনাল্টি নেওয়ার সময় অন্য কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মার্তিনেস। তিনি বল নিয়ে গোলের পিছনে থাকা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছে গিয়ে তাঁদের চিৎকার করতে বলেছিলেন। তার পরে চুয়ামেনিকে বল না দিয়ে অন্য দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে চুয়ামেনিকে বল আনতে হয়েছিল। এই সব ঘটনায় তাঁরও মনোযোগ নষ্ট হয়েছিল। বাইরে মেরেছিলেন তিনি। চুয়ামেনি পেনাল্টি নষ্ট করার পর ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছিল মার্তিনেসকে। সঙ্গে অনেক কিছু বলছিলেন তিনি।

ফ্রান্সের হয়ে শেষ পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন কোলো মুয়ানি। তাঁর কাছে গিয়েও অনেক কিছু বলেছিলেন মার্তিনেস। রেফারি বাধ্য হয়ে তাঁকে ঠেলে গোলপোস্টে নিয়ে যান। মার্তিনেসকে হলুদ কার্ডও দেখানো হয়েছিল। তাতে অবশ্য ভ্রুক্ষেপ করেননি তিনি। কোলো মুয়ানি গোল করলেও আর্জেন্টিনার হয়ে পেনাল্টি থেকে মন্টিয়েল গোল করায় বিশ্বকাপ জিতে যান মার্তিনেসরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement