এমবাপের গোলের দিনে লজ্জা নেমারের। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ক্লাবের হয়ে ফিরেও সেই ছন্দ বজায় রাখলেন কিলিয়ান এমবাপে। প্যারিস সঁ জরমঁর হয়ে নেমেই গোল করলেন তিনি। এমবাপের ভাল খেলার দিনে আবার নাম ডোবালেন নেমার। পুরনো ‘চুরি রোগ’ ফিরে এল তাঁর। বক্সের মধ্যে অকারণে ডাইভ মেরে পেনাল্টি আদায় করতে গিয়ে লাল কার্ড দেখলেন তিনি। ফলে পিএসজি-র হয়ে বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচ দুই তারকার কাছে দু’রকম গেল। পিএসজি ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্ত্রাসবুর্গকে। গোল করেন মার্কুইনোস এবং এমবাপে।
লিগ তালিকায় ১৯ নম্বরে থাকা স্ত্রাসবুর্গের বিরুদ্ধে জয় মোটেই সহজে আসেনি। পেনাল্টি থেকে এমবাপে গোল না করলে ড্র করতে হত পিএসজি-কে। ৯৩ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের জাঁ রিকনার বেলেগার্দে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই বল যায় এমবাপের কাছে। তাঁকে পিছন থেকে ফাউল করা হয়। মার্কুইনোস সেই বল থেকে গোল করলেও রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতোই এমবাপে মাথা ঠান্ডা রেখে বল জালে জড়ান। গোলকিপার ঠিক দিকে ঝাঁপালেও বলের গতিতে পরাস্ত হন। এই মরসুমে এমবাপের ১৩টি গোল হল ক্লাবের হয়ে। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী লেন্সের থেকে আট পয়েন্টে এগিয়ে গেল পিএসজি।
নেমারের এই সেই ডাইভ। ছবি: টুইটার
এর মধ্যেই নেমারকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ৬১ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের আদ্রিয়েন টমাসনের মুখে আঘাত করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। এক মিনিট পরেই বক্সের মধ্যে ডাইভ মেরে পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টা করতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখেন। পিএসজি-তে যোগ দেওয়ার পর এই নিয়ে পাঁচ বার লাল কার্ড দেখলেন তিনি। গত চার বছরে এত বেশি লাল কার্ড আর কেউ দেখেননি। ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যমের খবর, লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্টেডিয়াম ছাড়েন নেমার।
এ দিকে, ইপিএলে বুধবার রাতে লিডস ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। জোড়া গোল করলেন আর্লিং হালান্ড। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান আরও কমিয়ে ফেলল সিটি।