অস্ত্র: কুয়ালা লামপুর সিটি এফসির তুরুপের তাস পাওলো। নিজস্ব চিত্র।
মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর সিটি এফসি সোমবার কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের যাবতীয় আগ্রহ ব্রাজিলীয় পাওলো জোসু ও কলম্বিয়ার রোমেল মোরালেসকে নিয়ে। প্রথম জন এএফসি কাপের চারটি ম্যাচের দু’টিতে জোড়া গোল করেছিলেন। দ্বিতীয় জন মাঝমাঠে খেললেও গোল করতে দক্ষ।
ব্রাজিল ও কলম্বিয়া তারকার আড়ালেই থেকে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেনি পালরাজ, পারতিবান জনশেখরন! দু’জনেই মাঝমাঠের ফুটবলার। কিন্তু তাঁদের দায়িত্ব আলাদা। রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে কেনির কাজ মাঝমাঠে বিপক্ষের আক্রমণ থামানো। পারতিবনকে কুয়ালা লামপুর সিটি এফসির ক্রোয়েশীয় কোচ বোয়ান হোডাক দায়িত্ব দেন প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে উঠে বিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার।বুধবার যুবভারতীতে এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে এটিকে-মোহনবাগানের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন এই দু’জন। কেনি ও পারতিবনের জন্ম মালয়েশিয়াতেই। তাঁদের পূর্বপুরুষরা ভারতে থাকতেন।
কুয়ালা লামপুর থেকে সরাসরি কলকাতায় আসার বিমানে টিকিট না পাওয়ায় চেন্নাই হয়ে আসতে হয়েছে পাওলোদের। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তাঁদের বসে থাকতে হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দরে। ক্লান্তি উপেক্ষা করেই সন্ধ্যায় যুবভারতীতে অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন ফুটবলাররা। দলের এক সদস্য বলছিলেন, ‘‘সবাই পাওলো, মোরালেসকে নিয়েই আগ্রহী। কেনি ও পারতিবন আমাদের দলের অন্যতম ভরসা। এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে ওঠার নেপথ্যে ওদেরও প্রচুর অবদান রয়েছে।’’