শুক্রবার কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনালের ম্যাচ চলছে। ছবি: আইএফএ
কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনালে উঠল কালীঘাট স্পোর্টস লাভার অ্যাসোসিয়েশন ও এসএসবি উইমেন্স এফসি।
শুক্রবার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার অ্যাসোসিয়েশন ৫–৪ গোলে হারাল সরোজিনী নাইডু ওএসসি-কে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে যে কোনও দল জিততে পারত। অনেকেই বলছেন, এ বারের কন্যাশ্রী কাপে এটিই সেরা ম্যাচ। প্রথমার্ধেই ছ’টি গোল হয়। শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় কালীঘাট। দু’মিনিটের মাথায় কালীঘাটকে এগিয়ে দেন সিংঘ মুর্মু। সাত মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল সুস্মিতা বর্ধনের। ২৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন সুস্মিতা। ৩৫ মিনিটে ফের গোল করেন সিংহ। কালীঘাট যখন ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়, তখন মনে হচ্ছিল তাদের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ায় সরোজিনী নাইডু ওএসসি। তাদের প্রত্যাবর্তনের সূত্রপাত ৪১ মিনিটে রিম্পা হালদারের গোল থেকে। এই গোল হতেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় সরোজিনী। প্রথমার্ধেই দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান ২-৪ করেন রিম্পা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও জ্বলে ওঠেন রিম্পা। নদিয়ার পলাশীর এই ফুটবলারের দৌড়ে নাজেহাল হয়ে যায় কালীঘাট। তাঁকে সামলাতে পারেননি কালীঘাটের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দু’টি গোল করে সমতা ফেরান রিম্পা। ম্যাচের ফল যখন ৪-৪, তখন কালীঘাটের হয়ে নামেন সোনামণি সোরেন। খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কালীঘাটের জয়সূচক গোলটি আসে তাঁরই পা থেকে।
দল হারলেও মাঠে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন রিম্পা। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রাক্তন ফুটবলার শান্তি মল্লিকও অভিভূত রিম্পার খেলা দেখে। এমনকী প্রতিপক্ষ কালীঘাটের ফুটবলাররাও রিম্পার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অন্য খেলায় দমদম সুরের মাঠে গত বারের চ্যাম্পিয়ন এসএসবি উইমেন্স এফসি ২–১ গোলে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবকে হারায়। এসএসবি-র দুলার মারান্ডি জোড়া গোল করে দলকে জেতান। প্রথমার্ধে গোল করে তিনি দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীভূমির মিনা খাতুন সমতা ফেরান। শেষ দিকে দুলার জয়সূচক গোলটি করেন।