East Bengal

সাড়ে চার বছর পরে ডার্বি জিতে হোটেলে ফিরে কী করলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা?

১৬৫৭ দিন পরে ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার ১-০ গোলে ডুরান্ড কাপে ডার্বি জেতার পরে হোটেলে ফিরে কী করলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১৪:২৩
Share:

ডার্বিতে গোল করে সতীর্থের সঙ্গে উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমারের। ছবি: পিটিআই

সাড়ে চার বছর পরে ডার্বি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জয়সূচক গোল করেছেন নন্দকুমার। এই জয়ের পরে যেমন সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে উল্লাস করেছেন তেমনই হোটেলে ফিরে উল্লাসে মেতেছেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা।

Advertisement

ডার্বি জেতার পরে শহরের বিলাসবহুল হোটেলে ফিরে কেক কাটেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। মধ্যমণি ছিলেন দলের অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরা। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিলেন দলের বাকি ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেও দেখা যায়, হাসিমুখে খাবরার পাশে দাঁড়িয়ে। কেক কেটে প্রথমে খাবরা ডেকে নেন দলের জয়ের নায়ক নন্দকুমারকে। তাঁকে কেক খাইয়ে দেন খাবরা। ইস্টবেঙ্গলের নামে জয়ধ্বনিও দেন ফুটবলারেরা।

ডার্বি জিতে বাগান ফুটবলারদের খোঁচা মেরেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “মোহনবাগানের হাতে অনেক তারকা রয়েছে। ওরা অনেক বিনিয়োগ করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল ফুটবলার এনেছে। কিন্তু ওরা এখনও পুরোপুরি ফিট নয়। কামিংস, সাদিকু, পেত্রাতোসের মতো ফুটবলারকে ওরা সামান্য সময়ের জন্যে ব্যবহার করতে পেরেছে। তবে এটাও ঠিক যে প্রাক্‌-মরসুম প্রতিযোগিতায় সবাইকে সমান ভাবে খেলানো সম্ভব নয়। কিন্তু শারীরিক ভাবে ওদের সবাইকে পুরোপুরি ফিট মনে হয়নি।”

Advertisement

লাল-হলুদ কোচ আলাদা করে প্রশংসা করেছেন গোলদাতা নন্দকুমারের। কুয়াদ্রাত বলেন, “নন্দ প্রচুর পরিশ্রম করেছে অনুশীলনে। ভারতীয় ফুটবলের অনেক ভাল গোল করেছে ও। আমি খাবরার কথাও আলাদা করে বলব। আগের ম্যাচে ওর ভুলে গোল খাওয়ার পর খুব বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল। আজ নিজের পারফরম্যান্সের সাহায্যে সব ঢেকে দিয়েছে। নিশু পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। তাই আমাদের হাতে বিকল্প রয়েছে। বিদেশিরা শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয়। কিন্তু সেটাও হয়ে যাবে। প্রতিটা ম্যাচে যে পরিকল্পনা করছি সেটা কাজে লাগছে, এটা ভেবেই আমরা খুশি।”

এর মধ্যেই ডুরান্ডে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে বেশি ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ করেছে ইস্টবেঙ্গল। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)-এর সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে লিখিত অভিযোগ জমা দিচ্ছে তারা। ইস্টবেঙ্গলের দাবি, প্রথম দুটি ম্যাচে ২৭ জন ফুটবলারকে খেলিয়েছিল মোহনবাগান। শনিবারের ম্যাচে আরও ছ’জন ফুটবলার খেলানো হয়েছে। সর্বোচ্চ তিন জন খেলানো যেতে পারত। এ বিষয়েই অভিযোগ জানানো হচ্ছে এআইএফএফের কাছে। ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ কুয়াদ্রাত বলেন, “মোহনবাগান তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডুরান্ডে। এর মধ্যেই ওরা ৩৩ জন ফুটবলারকে ব্যবহার করে ফেলেছে। ডুরান্ডে নিয়ম রয়েছে ৩০ জনকে খেলানোর। আমরা কখনও ৩০ জনের বেশি ফুটবলারকে খেলাব না। ওরা নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে।”

কুয়াদ্রাতের সংযোজন, “আমি ভারতীয় ফুটবলকে ভালবাসি। তাই জন্যেই আবার এখানে কাজ করতে এসেছি। কিন্তু নিয়ম সব জায়গায় সমান ভাবে কাজে লাগানো হয় না, এটা দেখে অবাক হয়েছি। মোহনবাগানের ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। ওরা সবাইকে খেলিয়ে দেখে নিতে চাইছে। এর পরে এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে। সেটাকে আমি সমীহ করি। কিন্তু নিয়ম তো সবার জন্যেই সমান, তাই না?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement