মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। — ফাইল চিত্র।
এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম রাউন্ড টপকানো গিয়েছে। গ্রুপ পর্বে খেলতে এ বার দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা টপকাতে হবে মোহনবাগানকে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলতে চলেছে তারা। রাখঢাক না করে সরাসরি এই ম্যাচকে ‘ফাইনাল’ বলে দিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। পাশাপাশি জানালেন, প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি ভাল না হওয়া সত্ত্বেও এই ম্যাচ জিততে মরিয়া তারা।
এএফসি কাপ জিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছাপ ফেলতে চাওয়ার কারণেই বড় বাজেটের দল গড়েছে মোহনবাগান। কিন্তু একই সঙ্গে তিনটি প্রতিযোগিতায় খেলতে হওয়ায় চাপে রয়েছে তারা। এএফসি কাপের পাশাপাশি কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপেও খেলতে হচ্ছে তাদের। বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে ৫-০ জয় ছাড়া সাম্প্রতিক কালে কোনও ম্যাচে মোহনবাগানকে বিরাট ছন্দবদ্ধ দল মনে হয়নি। কলকাতা ডার্বিতে হারতে হয়েছে। এমনকি কলকাতা লিগেও একটি ম্যাচে হেরেছে তারা।
মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে ফেরান্দো বললেন, “কালকের ম্যাচ ফাইনালের মতোই। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব তা নিয়ে নিশ্চিত।” তবে সূচিতে আবারও অখুশি তিনি। বলেছেন, “এত কঠিন সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা বেশ কঠিন। প্রাক মরসুম প্রস্তুতিতে বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে। গোটা দলকে নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করার সুযোগ পাইনি।”
রবিবার মহমেডান সাত গোলের পার্থক্যে জিততে না পারায় ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছে মোহনবাগান। তবে এখনই সেই প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবতে নারাজ ফেরান্দো। বললেন, “আমরা প্রত্যেক ম্যাচেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপাতত ভাবনায় কালকের ম্যাচটাই রয়েছে। তার পরে ডুরান্ডের প্রস্তুতি সারব। কয়েকজন এমন ফুটবলার রয়েছে যারা একইসঙ্গে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড এবং এএফসি কাপে খেলছে। আপাতত এএফসি কাপে ভাল খেলা আমাদের লক্ষ্য। ডুরান্ড নিয়ে পরে ভাবব। তার পর বাকি মরসুমের জন্যে প্রস্তুতি শুরু করব।”
আগের ম্যাচে মাচিন্দ্রা এফসি-কে সহজে হারালেও আবাহনীর বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হবে বলে মত মোহনবাগান কোচের। বলেছেন, “দুটো দলই একই লক্ষ্যে নামবে। তাই আগের ম্যাচের কথা মাথাতেই রাখতে চাই না। সেরা একাদশ নামিয়ে ম্যাচটা ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে চাই।”