বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ এই রাজ্যের ফুটবলে প্রতীকী ছবি
উত্তরাখণ্ডের ছায়া এ বার জম্মু এবং কাশ্মীরে!
কিছু দিন আগেই উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই সংস্থায় কলার দাম দেখানো হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা! জলের বোতলের দাম দেখানো হয়েছিল ২২ লক্ষ টাকা! এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের ফুটবল সংস্থাতেও (জেকেএফএ) একই রকম দুর্নীতি দেখা গেল। সম্প্রতি আর্থিক লেনদেনের হিসাব প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গিয়েছে, বিরিয়ানির বিল বাবদ এক রেস্তোরাঁকে দেওয়া হয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা! সেই বিরিয়ানি নাকি আসলে নেওয়াই হয়নি। পুরো লেনদেনই ভুয়ো।
আর্থিক দুর্নীতির দায়ে জেকেএফএ-র বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে জম্মু এবং কাশ্মীর দুর্নীতি বিরোধী শাখা। জেকেএফএ-র সভাপতি জামির ঠাকুর, কোষাধ্যক্ষ এসএস বান্টি, মুখ্য কর্তা এস এ হামিদ এবং সদস্য ফায়াজ আহমেদ ছাড়াও আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রখ্যাত ফুটবলার আব্দুল খালিক ভাটের ছেলে মুস্তাক আহমেদ ভাট প্রথম আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের ফুটবলের উন্নতি এবং খেলাধুলোর জন্য জম্মু এবং কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল জেকেএফএ। খেলো ইন্ডিয়া এবং মুফতি মেমোরিয়াল গোল্ড কাপে ওই টাকা কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ টাকারই অপব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের বিরিয়ানি খাওয়ানোর খরচ বাবদ শ্রীনগরের এক রেস্তোরাঁকে ৪৩ লক্ষ ছ’হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, কোনও দলই বিরিয়ানি পায়নি। খরচের যে বিল দেখানো হয়েছে তা ভুয়ো। একই ভাবে আরও দু’টি সংস্থাকে দেওয়া এক লক্ষ ৪১ হাজার টাকা এবং এক লক্ষ এক হাজার টাকার বিলও ভুয়ো। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ৫০ লক্ষের মধ্যে ৪৩ লক্ষের বেশি টাকাই ভুয়ো বিল দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি বিলে একজন ব্যক্তিরই হাতের লেখার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পরিচয় অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনায় আর কারা জড়িত তাঁদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।