জুটি: রবিবার অনুশীলনে ফ্রানের সঙ্গে হীরা। এসসি ইস্টবেঙ্গল
অষ্টম আইএসএলের সব ম্যাচই এখন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে নিয়মরক্ষার। কিন্তু ফুটবলারদের কাছে অগ্নিপরীক্ষার! আগামী মরসুমের দিকে তাকিয়ে শেষ চারটি ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দিতে মরিয়া তাঁরা। আজ, সোমবার কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দ্বৈরথের আগে যা স্বস্তি দিচ্ছে কোচ মারিয়ো রিভেরাকেও।
১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এগারো দলের আইএসএলে দশম স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দু’ম্যাচ কম খেলা কেরলের সংগ্রহে ২৩ পয়েন্ট। শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরাদের। ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচও জানেন, লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য সোমবার শুরু থেকেই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে কেরল। তা সত্ত্বেও মারিয়ো উদ্বিগ্ন নন। তিনি মনে করেন, কোনও দলের পক্ষেই ইস্টবেঙ্গলকে হারানো এখন আর সহজ নয়। রবিবার প্রাক-ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘চলতি আইএসএলের সেরা দলগুলিও এখন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খুব একটা স্বস্তিতে থাকবে না। সকলেই বুঝে গিয়েছে আমাদের হারানো এখন আর সহজ নয়।’’
শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছেন আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচরা। ড্র করেছেন একটিতে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এতটা আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল কোচ? খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে লাল-হলুদ শিবিরের ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। হীরা মণ্ডল, আদিল খান, ড্যারেন সিডোয়েল থেকে মার্সেলো রিবেইরা— প্রত্যেকেই উপলব্ধি করছেন শেষ চারটি ম্যাচের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে তাঁদের ভবিষ্যৎ। ভাল খেলতে না পারলে আগামী মরসুমে দল পাওয়া কঠিন হবে। কেউ কেউ বলেই দিলেন, ‘‘নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার এটাই শেষ সুযোগ আমাদের সামনে। ভাল খেলতে না পারলে খুব সমস্যা হবে। আগামী মরসুমে সব দলই চাইবে কম টাকা দিয়ে চুক্তি করতে।’’
প্রথম পর্বে কেরলের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বার কী হবে? মারিয়োর কথায়, ‘‘কেরলের আক্রমণভাগ খুব শক্তিশালী। রক্ষণও মজবুত। দলে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। যদিও আমরা জেতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাই না।’’ কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শুরু থেকে খেলাতে পারেন ফ্রান সোতাকে। খেলার সম্ভাবনা রয়েছে জ্যাকিচন্দ্র সিংহেরও। বললেন, ‘‘ফ্রান তৈরি। ওকে খেলানোর কথা ভাবছি। জ্যাকিও অনুশীলন করছে। আশা করছি, ওকে দলে রাখতে পারব।’’
বিধ্বংসী মুম্বই: রবিবার ওড়িশা এফসিকে ৪-১ গোলে চূর্ণ করে আইএসএল টেবলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল মুম্বই সিটি এফসি। জোড়া গোল করেন ইগর আঙ্গুলো (৪১, ৭০ মিনিট) ও বিপিন সিংহ (৪৭, ৭৩ মিনিট)। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ওড়িশার হয়ে ব্যবধান কমান জোনাথাস ক্রিস্টিয়ান।