ISL 2022-23

শাঁখের করাত, তবু জিতবেন সুনীল-ঘরনি! আইএসএল ফাইনালে বাপের বাড়ি বনাম শ্বশুরবাড়ি

তিনি সুব্রতর মেয়ে। তিনিই সুনীলের স্ত্রী। মোহনবাগানের আবহে বেড়ে ওঠা সোনম এখন সুনীল সমর্থক। তাতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে চিৎকার করতে হলেও। অতীতে বাবার পাশে থাকতেন, এখন স্বামীর পাশে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৪
Share:

আইএসএল ফাইনালে সুনীল-ঘরনি সোনমের কাছে শাঁখের করাত। ছবি: টুইটার।

ফুটবল খেলেননি কখনও। তবু তাঁর জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে ফুটবল। প্রিয় খেলা তাঁকে সঙ্কটে ফেলতে পারে হয়তো আনমনে ভেবেছেন কখনও। সেই সঙ্কটই হাজির দুয়ারে। তিনি সোনম ভট্টাচার্য। মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ সুব্রত ভট্টাচার্যের মেয়ে এখন সুনীল ছেত্রীর ঘরনি!

Advertisement

কলকাতার ময়দান তাঁকে বাবার সুবাদে চেনে ‘মেম’ নামে (সোনমের ডাকনাম)। আইএসএল ফাইনালে মুখোমুখি এটিকে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। এক দিকে বাবার প্রিয় মোহনবাগান। তিনিও আদ্যন্ত সবুজ-মেরুন সমর্থক। কিন্তু নিশ্চিন্তে সমর্থন করতে পারছেন না! কারণ প্রতিপক্ষ দলের মুখ তাঁর স্বামী।

গত দেড় দশক ধরে ভারতীয় ফুটবলের ‘পোস্টার বয়’ সুনীল। মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলারের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তৎকালীন সবুজ-মেরুন কোচের মেয়ের। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। আক্রমণ এবং রক্ষণের ভারসাম্যে সুখী গৃহকোণ। সেই গৃহকোণেই বাসা বেঁধেছিল সঙ্কট। খেতাবি লড়াইয়ে কার পাশে থাকবেন সোনম? গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর খুঁজছে ফুটবল জনতা। সোনম নিজে মুখ খোলেননি। সমাজমাধ্যমেও কিছু জানাননি।

Advertisement

মা লতা ভট্টাচার্যকে নিয়ে সোনম থাকবেন গোয়ার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। লতাও স্বামীর দলে। সুব্রত যখন খেলতেন, যখন কোচিং করাতেন তখনও ছিলেন মোহনবাগানী। এখনও তাই। তবে জামাইয়ের প্রতিও টান কম নয় তাঁর। সোনম এখন সুনীলের পথে। পেশাদার ফুটবলারের স্ত্রী জার্সি বদলেছেন স্বামীর পাশে থাকতে। এখন তিনি বেঙ্গালুরু সমর্থক। বলা ভুল হল একটু। সুনীল যে দলে খেলেন, সোনম সেই দলকেই সমর্থন করেন। একটা সময় বাবার জন্য উদ্বেগে থাকতেন। এখনও উদ্বেগে থাকেন স্বামী সুনীলের জন্য।

সুনীলের গায়ে শনিবার সবুজ-মেরুন জার্সি থাকলে সব থেকে ভাল হত হয়তো। মোহনবাগানকে পিছনের সারিতে পাঠাতে হত না। আবার স্বামীর পাশেও থাকা যেত। শ্বশুর, শাশুড়ি, মা— সবাইকে নিয়ে খেলা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সোনম। বাবা সুব্রত আছেন কলকাতাতেই। মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে দল বদলানোর বান্দা তিনি নন। হলে ফুটবলারজীবনে একাধিক বার অবলীলায় ইস্টবেঙ্গলের লোভনীয় আর্থিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন না। জামাইয়ের প্রতি স্নেহ, ভালবাসা থাকলেও সুব্রতর সমর্থন পাবে মোহনবাগান।

একটা ম্যাচ ঘিরে দু’ভাগ পরিজনরা। আসলে দু’ভাগ সোনমের মন। যে মন চ্যাম্পিয়ন হবেই। হয় স্বামী জিতবেন, নয় তাঁর ‘একদা’ প্রিয় মোহনবাগান। ফুটবল দুয়ারে সঙ্কট নিয়ে এলেও আইএসএল ফাইনালে হারবেন না মেম। না হারার মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছেন সুব্রত, সুনীলরাই। আইএসএল ফাইনাল তাঁর কাছে অনেকটা বাপের বাড়ি বনাম শ্বশুরবাড়ি!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement