আবার গোল পেত্রাতোসের। ছবি: টুইটার
অতিরিক্ত সময়েও কোনও দল গোল করতে পারল না। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে।
নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ অমীমাংসিত। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
চমকের পর চমক। আবার পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। বক্সের বাইরে কিয়ানকে ফাউল করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলার। কিন্তু রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেত্রাতোস কোনও ভুল করেননি।
আবার সেই রয় কৃষ্ণ। সেই প্রাক্তনীই এসে আঘাত করলেন মোহনবাগানকে। বেঙ্গালুরুর কর্নার ভেসে এসেছিল মোহনবাগান বক্সে। এক ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ালেন কৃষ্ণ। পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করে কোনও উৎসব করলেন না তিনি।
লিস্টনের শট দুর্দান্ত ভাবে বাঁচালেন গুরপ্রীত। ফিরতি বল চলে এসেছিল পেত্রাতোসের কাছে। চলতি বলে শট নিতে গিয়ে বাইরে মারলেন তিনি। সুবর্ণ সুযোগ হারাল মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভাল করেছে বেঙ্গালুরুই। মোহনবাগান তাদের প্রতিপক্ষকে একটু মেপে নিতে চাইছে। আশিকের বদলে নেমেছেন লিস্টন।
সেই কৃষ্ণই পেনাল্টি আদায় করে নিলেন বেঙ্গালুরুর জন্যে। ভুল মোহনবাগানের ডিফেন্ডার শুভাশিসের। বল ক্লিয়ার করতে বড্ড বেশি সময় লাগালেন। সোজা মারলেন কৃষ্ণের পায়ে। পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল সুনীলের।
রয় কৃষ্ণকে পিছন থেকে মারার দায়ে পেনাল্টি চেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ফুটবলার। রেফারি সাড়া দিলেন না। বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত।
এখনও এগিয়ে মোহনবাগান। নিয়ন্ত্রণ বেশি তাদেরই। বিশাল কাউত একটি দারুণ ফ্রিকিক বাঁচালেন জাভির।
ম্যাচে দাপট রয়েছে মোহনবাগানেরই। আরও একটি হ্যান্ডবলের আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু রেফারি কান দেননি। মোহনবাগানের আক্রমণ তাতে কমছে না।
প্রাক্তনীর ভুলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। কর্নার বাঁচাতে গিয়ে হাতে বল লাগিয়েছিলেন কৃষ্ণ। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেত্রাতোস কোনও ভুল করেননি। পরাস্ত করলেন গুরপ্রীতকে।
ধাক্কা খেল বেঙ্গালুরু। শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন অন্যতম অস্ত্র শিবশক্তি। তাঁর জায়গায় নামলেন সুনীল ছেত্রী।
গুরপ্রীত, জোভানোভিচ, সন্দেশ, প্রবীর, রোশন, ব্রুনো, সুরেশ, হাভি, রোহিত, কৃষ্ণ এবং শিবশক্তি।