প্রথম বারের জন্য আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু সোনার বুট ঢুকল না ক্লাব তাঁবুতে। —ফাইল চিত্র
জাতীয় লিগ, আই লিগ ও আইএসএল ধরে বাংলার মোট ৬ জন ফুটবলার সোনার বুট জিতেছেন। তার মধ্যে মোহনবাগানের হয়ে সোনার বুট জিতেছেন তিন জন ফুটবলার। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়েও তিন জন সোনার বুট জিতেছেন। এ বারও সোনার বুট আসতে পারত বাংলাতে। কিন্তু একটুর জন্য পারলেন না মোহনবাগান স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতস।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৯-২০০০ মরসুমে। তখন ভারতের এক নম্বর লিগকে বলা হত জাতীয় লিগ। মোহনবাগানের হয়ে ১১টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ইগর। সে বার দ্বিতীয় বারের জন্য জাতীয় লিগ জিতেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পরের বছরই আবার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ঢুকেছিল বাগান তাঁবুতে। সে বার সব থেকে বেশি ১৪টি গোল করেছিলেন হোসে র্যামিরেজ় ব্যারেটো। যদিও সে বার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৩-০৪ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান জুনিয়র। ১৫টি গোল করেছিলেন তিনি। সে বারও জাতীয় লিগ জিতেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
তার পর দীর্ঘ দিন সোনার বুট ঢোকেনি বাংলায়। তার মধ্যেই জাতীয় লিগের নাম হয়েছে আইলিগ। ২০১৪-১৫ মরসুমে গিয়ে আবার সোনার বুট ঢোকে ইস্টবেঙ্গলে। ১৭ গোল করে সোনার বুট জেতেন র্যান্টি মার্টিন্স। পরের বারও ১২ গোল করে লাল-হলুদকে সোনার বুট এনে দেন র্যান্টি। ২০১৭-১৮ মরসুমে মোহনবাগানের হয়ে সোনার বুট জেতেন ডিপান্ডা ডিকা। তিনি ১৩টি গোল করেছিলেন।
সেই শেষ। ৫ বছরের খরা কাটল না। এ বার ১২টি গোল করেছিলেন পেত্রাতস। সমসংখ্যক গোল ওড়িশা এফসির দিয়েগো মৌরিসিয়ো ও ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভার। কিন্তু প্রতি মিনিটে গোলের নিরিখে সোনার বুট জিতলেন মৌরিসিয়ো। পারলেন না পেত্রাতস।