টানা সাতটি ডার্বি হেরে শনিবার খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। তবে অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতেই রাজি নন কনস্ট্যান্টাইন। ফাইল ছবি
শনিবার কলকাতা ডার্বি। তার আগে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকা বলছে, ১৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল দশম স্থানে। গোলপার্থক্যে জামশেদপুর এফসি-র নীচে। প্রথম মরসুমে তারা নবম স্থানে ছিল। দ্বিতীয় মরসুমে সবার শেষে। এ বার শেষের থেকে এক ধাপ উপরে। তবু ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন দাবি করলেন, এটাই ইস্টবেঙ্গলের সেরা মরসুম। দলের পারফরম্যান্সই সেই কথা বলে।
এই মরসুম শুরুর আগে কনস্ট্যান্টাইনই বলেছিলেন, প্রথম ছয়ে ঢুকলে সেটা হবে অলৌকিক ব্যাপার। অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে সে কথা। গোটা মরসুমে কখনও প্রথম ছয়ে ঢুকতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা ডার্বি জিতলে বড় জোর এক ধাপ উপরে ওঠা যাবে। তবে এই মরসুমে ১৪ পয়েন্ট মাঠে ফেলে না এলে প্লে-অফ খেলতেই পারত ইস্টবেঙ্গল। সে কারণেই ক্লেটন সিলভা, নাওরেম মহেশের পারফরম্যান্স তুলে ধরেছেন কনস্ট্যান্টাইন।
শুক্রবার তিনি বলেছেন, “ভেবে দেখুন আগের ডার্বিতে আমরা কোথায় ছিলাম, আর এখন কোথায় আছি। গত বছরের ৪ অগস্ট যখন আমি এখানে আসি, তখন হাতে মাত্র ১২ জন ফুটবলার ছিল। কোনও সাপোর্ট স্টাফ ছিল না। প্রথম পর্বের ডার্বি খেলার সময় দল গোছানো হয়নি। তা সত্ত্বেও আমরা প্রথমার্ধে শাসন করেছি। এ বার আমরা অনেক ভাল জায়গায়। আমার চেয়ে বেশি কেউ প্রথম ছয়ে থাকতে চায়নি। গত আট মাসে সে ভাবেই কাজ করেছি। সুপার কাপ এবং পরের মরসুমের জন্য একটা ভিত তৈরি করতে পেরেছি।”
উদাহরণ দিয়ে তাঁর সংযোজন, “রাতারাতি একটা বাড়ি তৈরি করা যায় না। সেটা সুন্দর করে সাজানোর জন্য টিভি, ইন্টারনেট, ফ্রিজ দরকার হয়। গত আট মাস ধরে এই দলের জন্যে সেটাই করার চেষ্টা করেছি।” তিনি আরও বলেছেন, “এ বার আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমাদের দলে রয়েছে। গত দু’বছরের তুলনায় বেশি পয়েন্ট পেয়েছি, বেশি গোল করেছি, বেশি ক্লিন শিট রয়েছে। প্রথম ছয়ে থাকার জন্য যা করার দরকার ছিল, সেটা মরসুম শুরুর আগে করতে পারিনি। যদি আমাকে বলেন এটাই আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সেরা মরসুম কি না, আমি বলব, হ্যাঁ। প্রথম ছয়ে থাকা সবারই লক্ষ্য ছিল। তা সত্ত্বেও বলব, আগামী দিনের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি হয়ে গিয়েছে।”
টানা সাতটি ডার্বি হেরে শনিবার খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। তবে অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতেই রাজি নন কনস্ট্যান্টাইন। বলেছেন, “প্রথম চারটে ম্যাচ গোয়ায় রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে হয়েছে। কোনও দর্শক ছিল না। কোনও চাপ ছিল না। ওটা প্রদর্শনী ম্যাচের মতো। ডুরান্ডে জৈব বলয়ে থাকার সময় আমরা একটা ম্যাচে হেরেছি। করোনার আগে আমরা জিতেছি। সেটা নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। তাই পরিসংখ্যান নিয়ে কচকচি থাকবেই। ওটা আমরা মাথায় রাখতে রাজি নই।”