বিশাল কায়েথের চোট নিয়ে চিন্তায় এটিকে মোহনবাগান। ফাইল ছবি
ওড়িশাকে উড়িয়ে দিয়ে আইএসএলের শেষ চারে এটিকে মোহনবাগান। তবে সেই জয় উপভোগই করতে পারলেন না সবুজ-মেরুনের কোচ ও ফুটবলাররা। আনন্দ করার কথা ভাবতেও পারছে না দল। কারণ, বিশাল কায়েথের চোট। যদিও বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন তিনি, কিন্তু এখনও হাসপাতালে রয়েছেন মোহন গোলরক্ষক। তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তবেই হবে উৎসব, জানিয়ে দিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
ম্যাচের পরে কোচ বলেন, “দলের এই জয়ে মন খুলে আনন্দ করতে পারছি না। বিশাল হাসপাতালে রয়েছে। আশিকের চোটটাও গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে জয়ের আনন্দ করা কঠিন। বিশালের খুব কাছে ছিলাম। তাই কী হয়েছিল, বুঝতে পেরেছিলাম। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওর জ্ঞান ছিল না।”
বল ধরতে গিয়ে ওড়িশার ব্রাজিলীয় ফরওয়ার্ড দিয়েগো মরিসিওর সঙ্গে ধাক্কা লাগে বিশালের। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় এক-দেড় মিনিট জ্ঞান ছিল না তাঁর। প্রথমে বোঝা যায়নি, আঘাত কতটা গুরুতর। দৌড়তে দৌড়তে মাঠে ঢোকেন ফেরান্দো। বাকি ফুটবলাররা তাঁকে ঘিরে ধরেন। সকলের মনে তখন একটাই প্রশ্ন ছিল, আবার কি জুনিয়রের ঘটনা ফিরে আসছে? শেষ পর্যন্ত অবশ্য হেঁটেই অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠেন বিশাল। তাঁকে ভর্তি করাতে হয়। হাসপাতাল থেকে ক্লাবকর্তারা কোচকে জানান, বিশাল সুস্থ আছেন, চিন্তার কিছু নেই। প্রথমে ফেরান্দো সাংবাদিক সম্মেলন করতেই চাননি। পরে রাজি হন।
বিশালকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা কোচ বলেন, “এই মুহূর্তে জেতা, হারা বা সেমিফাইনালে ওঠা কোনও কিছুই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফুটবল নিয়ে কথা বলার ইচ্ছাও নেই। দলের সঙ্গে গত ছ’মাস ধরে রয়েছি। ওরাই এখন আমার পরিবার। ওদের কিছু হলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না।”
পরে সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বলেন, “দলের এখন যা অবস্থা, আশিক, ব্রেন্ডন, গ্লেনরা অনিশ্চিত। ফলে দল সেমিফাইনালের জন্য কতটা প্রস্তুত, বলা কঠিন। আশা করি দু’-তিন দিনের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে যাবে।”
ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে ফেরান্দো বলেন, ‘‘ওদের দুই ব্যাকের মধ্যে জায়গা বের করে নেওয়াই ছিল প্রধান কাজ। আশিকের চোটের পরে পরিকল্পনায় কিছু বদল আনতে হয়। লিস্টনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়েছে। পুইতিয়াকে শুরু থেকে নামাতে হয়েছে। এটা বেশ কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সবাই ভাল খেলেছে। এক গোল হয়ে যাওয়ার পর ওদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়”
শেষ চারে মোহনবাগানের সামনে হায়দরাবাদ। গত বার এই হায়দরাবাদের কাছেই শেষ চারে হারতে হয়েছিল। আগামী ৯ মার্চ অ্যাওয়ে ম্যাচ। ১৩ মার্চ মোহনবাগান খেলবে যুবভারতীতে। এটিকে মোহনবাগানকে বুঝে নিতে শনিবার যুবভারতীর গ্যালারিতে ছিলেন হায়দরাবাদের কোচ মানোলো মার্কেজ।