WPL 2023

মেয়েদের আইপিএলে বাঙালি দাদাদের টেক্কা বাংলার দিদিদের

মেয়েদের এই আইপিএলে বাঙালি মেয়েরা ছাপিয়ে গেলেন ছেলেদের। সংখ্যার বিচারে ছেলেদের আইপিএলের থেকে মেয়েদের আইপিএলে বাঙালির সংখ্যা বেশি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১
Share:

এখন আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের মেন্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

শুরু হচ্ছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। ২০০৮ সালে ছেলেদের ক্রিকেটে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। মেয়েদের নিয়ে সেই ধাঁচেই শুরু হচ্ছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। মেয়েদের এই আইপিএলে বাঙালি মেয়েরা ছাপিয়ে গেলেন ছেলেদের। সংখ্যার বিচারে ছেলেদের আইপিএলের থেকে মেয়েদের আইপিএলে বাঙালি অনেক বেশি।

Advertisement

ছেলেদের আইপিএল শুরু হচ্ছে ৩১ মার্চ থেকে। সেই প্রতিযোগিতায় বাংলার ক্রিকেটার হিসাবে থাকছেন শাহবাজ় আহমেদ, আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমার। কিন্তু এঁরা কেউই বাঙালি নন। আইপিএলে বাঙালি বলতে একমাত্র ঋদ্ধিমান সাহা। গুজরাত টাইটান্স দলে রয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরাতে চলে গিয়েছেন ঋদ্ধি। এ বারের রঞ্জি খেলেছেন ত্রিপুরার হয়েই। বাংলায় ফিরবেন বলেও মনে করা হচ্ছে না। কিন্তু ছেলেদের আইপিএলে বাঙালির প্রতিনিধি তিনি একাই। বাংলাদেশের দুই বাঙালি যদিও ছেলেদের আইপিএলে খেলবেন। লিটন দাস এবং শাকিব আল হাসান রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে।

মেয়েদের আইপিএলে বাঙালির সংখ্যা বেশি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে রয়েছেন রিচা ঘোষ। তাঁকে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায় কেনে আরসিবি। আইসিসি-র ক্রমতালিকায় রিচা এক লাফে ২১ ধাপ উঠে এসেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও জিতেছেন তিনি। ছোটদের সেই দলে ছিলেন তিতাস সাধুও। দিল্লি ক্যাপিটালসে দেখা যাবে তাঁকে। ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছে দিল্লি। সেই দলে রয়েছেন বাংলার অপর্ণা মণ্ডলও। এ ছাড়াও রয়েছেন ধারা গুজ্জর এবং সাইকা ইশাক। তাঁদের দু’জনেরই জন্ম বাংলায়। দু’জনকেই নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বাংলার হয়ে খেলা দীপ্তি শর্মা খেলবেন উত্তরপ্রদেশ ওয়ারির্সের হয়ে। তিনি যদিও বাঙালি নন।

Advertisement

শুধু খেলোয়াড় নয়, কোচও রয়েছে বাংলা থেকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের কোচ ঝুলন গোস্বামী। মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলার সব থেকে বড় নাম তিনিই। সদ্য অবসর নিয়েছেন ঝুলন। খেলা ছেড়ে কোচ এবং মেন্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং বিভাগকে তৈরি করার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।

বাঙালির সংখ্যা আইপিএলের শুরুতে যদিও এত কম ছিল না। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক। ক্রিকেটে বাংলার সব চেয়ে বড় প্রতিনিধি ২০০৮ সালের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে টস করেছিলেন। শুধু কেকেআর নয়, পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। যদিও সৌরভের হাতে কখনও আইপিএল ট্রফি ওঠেনি। এখন তিনি দিল্লি ক্যাপিটালস দলের মেন্টর। সেই সময় অশোক ডিন্ডা, মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, দেবব্রত দাস, ঋদ্ধিমান সাহারা খেলেছিলেন। খেলেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। বেঙ্গালুরু দলে ছিলেন তিনি। এঁদের মধ্যে আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন মনোজ। ২০১২ সালে কলকাতার হয়ে ট্রফি জিতেছিলেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে প্রদীপ্ত প্রামাণিক সুযোগ পেয়েছিলেন বেঙ্গালুরু দলে। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। ছেলেদের আইপিএলে গত বার বাঙালির সংখ্যা এ বারের থেকে একটু বেশি ছিল। ঈশান পোড়েল এবং ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন পঞ্জাব কিংস দলে। ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁদের। এ বার নিলামের আগে তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে পঞ্জাব। এর ফলে বাঙালির সংখ্যা এখন ছেলেদের আইপিএলে এক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement