ম্যাকহিউয়ের জোড়া গোলে কেরলকে হারাল মোহনবাগান। ছবি: টুইটার।
ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার যুবভারতীতে মোহনবাগান ২-১ গোলে হারাল ১০ জনের কেরলকে। ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় কেরলের রাহুল প্রবীণকে।
গত কয়েকটা ম্যাচে ভাল খেলতে পারেনি জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। পর পর ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বের অঙ্ক কঠিন করে ফেলেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তিন ম্যাচ পর পুরো তিন পয়েন্ট পেয়ে স্বস্তি ফিরল মোহনবাগান শিবিরে।
জয়ের জন্য মরিয়া ফেরান্দো কেরলের বিরুদ্ধে দল সাজিয়ে ছিলেন ৪-২-৩-১ ছকে। সেই মতো শনিবার ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেন দিমিত্রি পেত্রাতস, মনবীর সিংহরা। ৫ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোহনবাগানের আশিক কুরিয়ান। খেলার গতির কিছুটা বিপরীতেই প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় কেরল। ১৬ মিনিটে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস গোল করেন কেরলের পক্ষে। তবে বেশি ক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি। ২৩ মিনিটে ফ্রিকিক পায় মোহনবাগান। পেত্রাতসের নেওয়া ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে দেন কার্ল ম্যাকহিউ। প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি কোনও পক্ষই।
১-১ গোলে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় মোহনবাগান। শুরুতেই হুগো বুমোসকে তুলে নিয়ে ফেরান্দো নামান ফেদেরিকো গায়েগোকে। ৫২ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন মনবীর। গোলের জন্য মরিয়া ওঠেন কেরলের ফুটবলাররাও। কিছুটা চড়া মেজাজের খেলা শুরু হয়। শক্তি প্রয়োগ করতে শুরু করেন দু’দলের খেলোয়াড়রাই। ৬৪ মিনিটে আশিককে বাজে ভাবে ফাউল করে রাহুল লাল কার্ড দেখায় কিছুটা সুবিধা হয় মোহনবাগানের। ফুটবলার কমে যাওয়ায় রক্ষণাত্মক হয়ে যায় কেরল। সেই সুযোগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ৭১ মিনিটে মনবীরের পাশ থেকে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন ম্যাকহিউ। শেষ দিকে দু’দলই একাধিক সুযোগ পেলেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি।
শনিবারের জয়ের ফলে ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান। নিশ্চিত করে ফেলল নকআউট পর্বে খেলা। টেবিলের সাত নম্বরে থাকা এফসি গোয়ার সংগ্রহ ১৯ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট। তাদের পক্ষে আর মোহনবাগানের থেকে বেশি পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ দু’দলেরই বাকি একটি করে ম্যাচ। পরের পর্বে নিশ্চিত কেরলও। তাদেরও মোহনবাগানের মতো ১৯ ম্যাচে সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট।