অনুশীলনে সহকারী পুলগার সঙ্গে মারিয়ো। ছবি টুইটার
প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ৬ গোল খাওয়ার ক্ষত এখনও দগদগে। দ্বিতীয় পর্বে ওড়িশা এফসি-র মুখোমুখি হওয়ার আগে ভুলত্রুটি শুধরে নামতে চাইছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ মারিয়ো রিভেরা আগের ম্যাচের ভিডিয়ো দেখেছেন। একই ভুল দু’বার করতে চান না তিনি। স্পষ্ট জানালেন, তাঁরা জয়ের জন্যেই ঝাঁপাবেন।
এসসি ইস্টবেঙ্গল কার্যত সেরা চারের দৌড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দলের ছেলেদের উজ্জীবিত রাখছেন কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মারিয়ো বলেন, “ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা সব ম্যাচেই জিততে চায়। সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রমাণ করতে চায় নিজেদের। লিগ তালিকায় এখন যে অবস্থানে রয়েছি আমরা, সেটা ওদের সঠিক জায়গা নয়। পরের ম্যাচে জয়ের খিদে নিয়েই নামবে ওরা। এটাই ওদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমার কাজটা হচ্ছে ওদের পথ দেখানো।”
আগের ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। বিরতিতে কী বলেছিলেন ছেলেদের? মারিয়ো বললেন, “বলেছিলাম, আরও সাহসী হও এবং এগিয়ে যাও। খোলা মনে খেলো এবং সব কিছু উজাড় করে দাও। ওরা আমার কথা মতোই খেলেছে। এই পরিবর্তনগুলো খেলায় আনতে পারলে ভাল সময় আসে। এখন ছেলেরা খোলা মনে, চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে।”
এসসি ইস্টবেঙ্গলে নতুন যোগ দিয়েছেন মার্সেলো। ডার্বিতে ভাল খেললেও আগের ম্যাচে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। মারিয়ো অবশ্য পাশে দাঁড়ালেন ব্রাজিলের ফুটবলারের। বললেন, “মার্সেলো যেটা করছে, সেটাই করুক। বিপক্ষের গোলের এলাকায় অনেক কিছু করছে ও, অনেক সুযোগ তৈরি করছে। গত ম্যাচে প্রায় প্রত্যেকটা ডুয়েলেই ও জিতেছে। আমাদের প্রায় প্রতিটা আক্রমণের সঙ্গে ও জড়িত ছিল। অন্যতম সেরা সেন্ট্রাল ব্যাক (স্লাভকো) দামজানোভিচের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ লড়াইয়েই ও জিতেছে। শুধু গোলের সংখ্যা দিয়ে ওকে বিচার করা যাবে না। আমাদের দলের আক্রমণ বিভাগের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও। গত ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত বার বিপক্ষের বক্সে ঢুকে আমাদের আক্রমণ হয়েছে, প্রতি বারই মার্সেলো তার সঙ্গে জড়িত ছিল। ও যদি আরও সুযোগ তৈরি করে নিতে থাকে, তা হলে আমরা ঠিক গোল পাব।”