জোড়া গোলে নায়ক মহেশ। ছবি টুইটার
কোচ বদল হতেই ভোলবদল এসসি ইস্টবেঙ্গলে। এ বারের আইএসএল-এ প্রথম ম্যাচ জিতল তারা। বুধবার এফসি গোয়াকে হারিয়ে দিল ২-১ ব্যবধানে। লাল-হলুদ বাহিনীর হয়ে দু’টি গোলই করলেন নাওরেম মহেশ।
এর আগে ম্যানুয়েল দিয়াস কোচ হিসাবে একটিও জয় উপহার দিতে পারেননি। উল্টে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিপদে ফেলেছিলেন। ফলে বছর ঘোরার আগেই বিদায় নিতে হয় তাঁকে। এরপরেই ঘোষণা করা হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ মারিয়ো রিভেরার নাম, যাঁর অতীতে লাল-হলুদে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল।
নিভৃতবাসের কারণে এতদিন দলের দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংহের আমলেই দেখা গিয়েছিল অন্য এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। লাল-হলুদের খেলায় জেদ এবং আক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। দু’টি ম্যাচ ড্র করার পর শেষ ম্যাচে লড়াই করেও জামশেদপুর এফসি-র কাছে হেরেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ম্যাচেই জয় উপহার দিলেন মারিয়ো।
যদিও খেলা দেখে এমন ফল হবে বোঝা যায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করে গিয়েছে গোয়া। কিন্তু ফলাফলের বিচারে টেক্কা দিল লাল-হলুদই। বুধবারের ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন নাওরেম। এ ক্ষেত্রে ভুল ছিল গোয়ার অধিনায়ক এদু বেদিয়ার। তাঁর চোখ বল থেকে সরে গিয়েছিল। সুযোগসন্ধানী নাওরেম কোনও ভুল করেননি। বল জালে জড়িয়ে দেন।
এরপর পাসের জালে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে জড়িয়ে ফেলে গোয়া। প্রতিমুহূর্তে চাপ তৈরি করছিল তারা। কিন্তু প্রতি বারই হতাশ হতে হচ্ছিল। কারণ এসসি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা শক্ত হাতে প্রতিটি আক্রমণই সামলে দিচ্ছিলেন। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট সাতেক আগে গোয়ার আক্রমণ কাজে দেয়। বাঁ দিক থেকে বল পেয়ে ছিলেন জর্জ ওর্তিজ। তিনি পাস দেন আলবার্তো নগুয়েরাকে। ঝাঁপিয়ে পড়া অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান আলবার্তো।
কিন্তু ৫ মিনিটের মধ্যে আবার এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এ বারও গোল করেন সেই মহেশ। সেই গোয়ার জঘন্য ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গল অবশ্য আগাগোড়া রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলেছে। গোয়া একের পর এক আক্রমণ করেছে ঠিকই, কিন্তু জয়ের গোল কিছুতেই পায়নি। মাঝমাঠে ভালো খেলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সৌরভ দাস।