মহড়া: প্রথম একাদশে ফেরার লক্ষ্যে অনুশীলনে মগ্ন অরিন্দম। ছবি টুইটার।
ডার্বিতে এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তিন গোল খাওয়ার পরে হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে আর খেলার সুযোগ পাননি এসসি ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য। আগামী রবিবার কেরল ব্লাস্টার্স এফসির বিরুদ্ধে ক্রমশ তাঁর দলে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে।
কেন অরিন্দমকে ফেরানোর কথা ভাবছেন কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস? আগের ম্যাচেই এফসি গোয়া ৪-৩ গোলে চূর্ণ করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্যর্থতার জন্য ডিফেন্ডাররা তো দায়ীই, গোলরক্ষক শুভম সেনও বেশ কিছু ভুল করেছিলেন। লাল-হলুদ গোলরক্ষকের উচ্চতা কম। এর ফলে সেট-পিস ও দুই প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বল ধরার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তিনি। কেরলের খেলার কৌশল হল প্রান্ত দিয়ে উঠে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে বল ভাসিয়ে দেওয়া।
লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের আধিকাংশের মতে, এই ম্যাচে অরিন্দমকে খেলানো উচিত। কারণ, গত মরসুমে আইএসএলে সোনার গ্লাভস-জয়ী গোলরক্ষকের উচ্চতা প্রায় ছয় ফিট দুই ইঞ্চি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়তি পরিশ্রম করছেন তিনি। শুধু দলের সঙ্গেই নয়, নিজেও আলাদা ভাবে অনুশীলন করছেন অরিন্দম। বৃহস্পতিবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু অরিন্দম বিশ্রাম নেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, টিম হোটেলের জিমে দীর্ঘক্ষণ ট্রেনিং করেছেন তিনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুক্র ও শনিবারের অনুশীলনে অরিন্দমকে ভাল করে দেখতে চান লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ।
চলতি আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সব চেয়ে দুর্বল জায়গা রক্ষণ। সেই সমস্যা কী ভাবে দূর করবেন ম্যানুয়েল? লাল-হলুদ অন্দরমহলে ক্রমশ কোচকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। কারণ, প্রতি ম্যাচেই তিনি প্রথম একাদশে একাধিক পরিবর্তন করছেন। চোটের কারণে রাইটব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় খেলতে পারছেন না। তাঁর বিকল্প হতে পারতেন আশির আখতার বা সেরেনিয়ো ফার্নান্দেস। প্রথম জনকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলেছেন লাল-হলুদ কোচ। মহমেডানে যোগ দিয়েছেন আশির। আর এক ডিফেন্ডার সেরেনিয়োকে আইএসএলের জন্য নথিভুক্ত করানো হয়েছে। অথচ তাঁকে দলের সঙ্গে রাখেননি কোচ।
ক্ষোভ বাড়ছে চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজু গায়কোয়াড়কে সব ম্যাচে খেলানো নিয়েও। সূত্রের খবর দলের মধ্যে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, আদিল খানকে শুরু থেকে কেন খেলানো হচ্ছে না তা নিয়ে। কোচ নাকি যুক্তি দিয়েছেন, এই মুহূর্তে আদিল পুরো ম্যাচ খেলার মতো তৈরি নন। তাই দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে নামাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। যা শুনে অনেকেই বলে দিলেন, ‘‘তা হলে তো প্রথম একাদশেই আদিলকে রাখা উচিত। শুরুতেই গোল খেলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। আদিল খেললে সেই সম্ভাবনা কম।’’
ম্যানুয়েল কি বুঝতে পেরেছেন?