গোল করলেন ঋত্বিক। ছবি টুইটার
আসানসোলের ছেলে তিনি। কলকাতা কাস্টমস ক্লাবে খেলে উঠে এসেছেন। ময়দানের সেই বাঙালি ফুটবলার ঋত্বিক দাসের গোলেই শেষ হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের লিগ-শিল্ড জেতার স্বপ্ন। লিগ-শিল্ড জিততে গেলে সোমবার প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে অন্তত দু’গোলে জিততেই হত। জেতা তো দূর, হেরেই গেল সবুজ-মেরুন। এ বার আইএসএল ট্রফি জেতাই একমাত্র লক্ষ্য জুয়ান ফেরান্দোর দলের।
জুয়ান ফেরান্দোর অধীনে এই প্রথম বার হারল এটিকে মোহনবাগান। শেষ হল এ বারের আইএসএল-এ তাদের অপরাজিত থাকার দৌড়। অন্যদিকে, টানা সাত ম্যাচ জিতে জামশেদপুর নতুন রেকর্ড গড়ল। শেষ ১১টি ম্যাচের দশটিতে জিতেছে তারা। এক মাত্র ড্র করেছে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিপক্ষে। জামশেদপুরের মোট পয়েন্ট ৪৩, যা আরও এক রেকর্ড।
আইএসএল-এর নিয়ম অনুযায়ী দু’টি দলের পয়েন্ট সমান হলে সেই দু’টি দলের মধ্যে মুখোমুখি সাক্ষাতে কে জয়ের দিক থেকে এগিয়ে সেটা দেখা হয়। সেখানেও সমান হলে দু’দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের ভিত্তিতে গোল পার্থক্য দেখা হয়। সেই হিসেবে জামশেদপুর প্রথম সাক্ষাতে ২-১ ব্যবধানে জেতায় এটিকে মোহনবাগানকে সোমবার অন্তত ২ গোলের ব্যবধানে জিততেই হত। জামশেদপুরকে স্রেফ ড্র করলেই চলত। জিতলে উপরি পাওনা।
প্রথমার্ধে দু’দলই একের অপরকে পরীক্ষা করার রাস্তায় নেমেছিল। ৭ মিনিটের মাথায় শুভাশিসকে ফাউল করেন লালাওমাওমা। কিন্তু ফ্রি-কিক থেকে লিস্টন কোলাসো কিছু করতে পারেননি। এর ১০ মিনিট পর জনি কাউকোর শট আটকে দেন পিটার হার্টলি। দু’মিনিট পরে ড্যানিয়েল চিমার হেড অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর সিংহ। মোটামুটি প্রথমার্ধে বল নিয়ন্ত্রণ করে সবুজ-মেরুনই। কিন্তু গোলটা পায়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়াতে থাকে জামশেদপুর। শুরুতেই গ্রেগ স্টুয়ার্ট শট নিয়েছিলেন। সফল হননি। কিন্তু ৫৬ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় জামশেদপুর। স্টুয়ার্ট শট নিয়েছিলেন। তা এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্সে প্রতিহত হওয়ার পর বল চলে গিয়েছিল ঋত্বিকের কাছে। চলতি বলেই শট নিয়ে অমরিন্দরকে পরাস্ত করেন তিনি।