এ ভাবেই বার বার লাল-হলুদ রক্ষণকে ভাঙলেন নগুয়েরা ছবি: টুইটার থেকে।
গোল করলে কী হবে, ম্যাচ জিততে হলে গোল আটকাতে হবে রক্ষণকে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের যেন সেটাই নেই। তাই ৩ গোল দিয়েও ৪ গোল খেতে হল। ফলে আইএসএল-এর চলতি মরসুমে এখনও জয়ের মুখ দেখল না লাল-হলুদ বাহিনী।
চলতি আইএসএল মরসুমে দু’দলই এর আগে জয়ের মুখ দেখেনি। প্রথম দু’ম্যাচে হারের পরে তৃতীয় ম্যাচ ড্র করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অন্য দিকে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে খেলতে নেমেছিল এফসি গোয়া। তাই জয়ের তাগিদ দু’দলেরই ছিল। ফলে অনেক আক্রমণাত্মক খেলল দু’দল। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে জয়ে ফিরল গোয়া।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে গোয়া। কিছুটা চাপে পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তার ফলও মেলে। ১৪ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় বেশ খানিকটা বল নিয়ে গিয়ে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন নগুয়েরা। কোনও সুযোগ পাননি গোলরক্ষক শুভম। গোল সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার সুয়োগ ছিল গোয়ার কাছে। ১৭ মিনিটের মাথায় নগুয়েরার পাস থেকে ওর্টিজের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে অল্পের জন্য বেরিয়ে যায়।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ২৬ মিনিটের মাথায় আমির দেরভিসেভিচের ফ্রিকিক থেকে ফিরতি বলে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ। যদিও সেই হাসি বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩২ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় গোয়া। বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় গোয়া। ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ওর্টিজ।
পাঁচ মিনিট পরেই ম্যাচে দ্বিতীয় বারের জন্য সমতা ফেরায় লাল-হলুদ বাহিনী। ফ্রিকিক থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন দেরভিসেভিচ। বিরতির আগে ফের এগিয়ে যায় গোয়া। আত্মঘাতী গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোলের নায়ক পেরোসেভিচ। প্রথমার্ধের শেষে ২-৩ গোলে পিছিয়ে সাজঘরে যায় লাল-হলুদ বাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৫৯ মিনিটের মাথায় প্রায়শ্চিত্ত করেন পেরোসেভিচ। গোয়ার রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে গিয়ে ধীরাজ সিংহকে পরাস্ত করে গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি।
খেলা যত গড়াতে থাকে দু’দলই গোল করার জন্য আক্রমণে ওঠে। ৭৯ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্তে বল ধরেন ওর্টিজ। তিনি বল বাড়ান অরক্ষিত অবস্থায় থাকা নগুয়েরার দিকে। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৪-৩ গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। বাকি সময়ে আর গোল আসেনি। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।