বার বার চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ পেরোসেভিচ। ছবি: টুইটার
ডার্বিতে হারের পরে চেন্নাইন এফসি-র বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রক্ষণের ভুলে ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়তে হল তাদের। ডার্বিতে ভাল খেলেছিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার হীরা মণ্ডল। কিন্তু চেন্নাইনের বিরুদ্ধে তাঁর দু’টো ভুল খেলার চেহারা বদলে দিল। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে এক পয়েন্ট দিলেন নামতে।
ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্ত ধরে জেরির ক্রস বার করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে দেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার হীরা। খেলার শুরুতে গোল পাওয়ার পরে গতি বাড়ায় চেন্নাইন। দলের তরুণ অধিনায়ক অনিরুদ্ধ থাপা, নিনথোইরা দুরন্ত ফুটবল খেলছিলেন। তার ফলও মেলে। ১৫ মিনিটের মাথায় সেই হীরার ভুলেই বল পান নিনথোই। বক্সের মধ্যে দু’জনকে কাটিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে অরিন্দমকে পরাস্ত করেন নিনথোই।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ার পরে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বেশ কয়েক বার চেন্নাইনের গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। সহজ সুযোগ ছাড়েন মার্সেলো, পেরোসেভিচরা। দু’এক বার ছাড়া বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয়নি চেন্নাইনের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে। শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন পেরোসেভিচরা। তার ফলও মেলে। ৬০ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন সিডোয়েল। চোটের কারণে চেন্নাইনের মিডফিল্ডার কোমানকে তুলে নিতে বাধ্য হন কোচ। ফলে বলের দখল অনেক বেশি পেতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল।
একের পর এক আক্রমণ ভেসে আসতে থাকে চেন্নাইন বক্সের দিকে। কিছু সহজ সুয়োগ নষ্ট হয়। অন্য দিকে চাপে পড়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল শুরু করে চেন্নাইন। ফলে মাঝে মধ্যে অগোছাল ফুটবল হচ্ছিল। গোয়ার আবহাওয়ায় ফুটবলারদের ক্লান্তি স্পষ্ট বোছা যাচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে গোল করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা নামতে। এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় ১১ থেকে ১০ নম্বরে এল লাল-হলুদ ব্রিগেড।