মঙ্গলবার অনুশীলনে কিয়ান। ছবি টুইটার
আগের ম্যাচে কলকাতা ডার্বি জিতে উত্তেজনায় ফুটছে এটিকে মোহনবাগান। বুধবার মুম্বই সিটি এফসি-র মুখোমুখি হচ্ছে তারা। প্রথম সাক্ষাতে মুম্বইয়ের কাছে পাঁচ গোল খেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তবে এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। একে তো ডার্বি জিতে সবুজ-মেরুনের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের খারাপ ছন্দ শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। এ অবস্থায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে প্রথম চারে জায়গা আরও মজবুত করতে চান কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
তবে একই সঙ্গে চূড়ান্ত সতর্ক এটিকে মোহনবাগান কোচ। বলেছেন, “প্রত্যেক ম্যাচই সম্পূর্ণ আলাদা। একটা ম্যাচ জেতার পরে আমাদের আত্মবিশ্বাসী হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা সে ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পাইনি। খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন নিভৃতবাসে ছিল। অনেকে সদ্য নিভৃতবাস থেকে বেরিয়েছে। মানসিক অবস্থার কথা ভেবে ওদের নিয়ে পুরো অনুশীলন করা কঠিন। তবে এটা ঠিকই যে একটা জয়ের পরে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।”
অনেকেই জানতে চাইছেন, আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা কিয়ান নাসিরিকে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শুরু দেখতে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে। তবে খুব একটা আশার কথা শোনালেন না ফেরান্দো। বলেছেন, “ও খুব পরিশ্রমী ছেলে। ওর জন্য আমি খুব খুশি। জায়গা নিয়ন্ত্রণ ও ফিনিশিং — দুটো ব্যাপারেই ও খুব ভাল। ওর পাসের টাইমিংও খুব ভাল। এটাই হওয়া উচিত। প্রতি ম্যাচে ও উন্নতি করবে। যে কোনও দল ও কোচের পক্ষে এ রকম খেলোয়াড় দরকার। তবে ওকে সময় দিতে হবে আরও উন্নতি করার।”
আইএসএল-এ এক বার এটিকে মোহনবাগান জিততে পারেনি মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। তবে অতীত পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রাখতে নারাজ ফেরান্দো। বলেছেন, “এটা নতুন একটা ম্যাচ। নতুন করে ৯০ মিনিট লড়াই করতে হবে। তাই অতীতে কী হয়েছে, সেটা ভেবে চাপে পড়ার কোনও মানে হয় না। ফুটবলে সব সময় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবাই ভাল। মাঝে মাঝে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয় ঠিকই। কিন্তু সব সময় দু’-তিন সপ্তাহ বা তার আগে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।”
নিভৃতবাসের পর্বে দলের ফুটবলারদের সাহায্যের জন্য কোনও মনোবিদের সাহায্য নিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নে ফেরান্দো বলেছেন, “আমরা সত্যিই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সব ক্লাবেই এখন একই আলোচনা চলছে। এই সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। ফলে প্রস্তুতিতেও তার প্রভাব পড়ে। মানসিক ভাবে খেলোয়াড়রা শক্তিশালী থাকে না। মাঠে বা মাঠের বাইরে হাসি-ঠাট্টা করে তাদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে তুলতে হয়। সে ভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ওদের ঠিক রাখার। শারীরিক ও মানসিক শক্তির মধ্যে যাতে একটা ভারসাম্য থাকে, সেই চেষ্টাই করছি।”
মুম্বই ম্যাচে পরিকল্পনা এবং দল বদলেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন ফেরান্দো। তাঁর ব্যাখ্যা, “এটা একেবারে অন্য একটা ম্যাচ। এই প্রতিপক্ষের খেলার স্টাইল সম্পূর্ণ আলাদা। গত ম্যাচে দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের অনেক তফাৎ ছিল। এখানে সেটা নয়। প্রত্যেক ম্যাচেই আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা করে রাখতে হয়। আমরা তৈরি।”