গোলের পর কৃষ্ণ। যদিও দিনের শেষে হাসি থাকল না। ছবি টুইটার
আইএসএল-এ টানা চতুর্থ ম্যাচে আটকে গেল এটিকে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করল তারা। কলকাতা ডার্বির পর এখনও জয়ের দেখা নেই সবুজ-মেরুনে। টানা তিন ম্যাচে হারের পর ড্র করল বেঙ্গালুরু এফসি। তারা নবম স্থানে। অন্যদিকে, ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেল এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের আগে রক্ষণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তাঁকে ডোবাল রক্ষণই। ভুল জায়গায় ট্যাকল, সঠিক লোককে মার্কিং না করা-সহ একাধিক ভুল করেছেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার। দায় এড়াতে পারেন না দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তিরিও।
খেলার প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। প্রথমেই রয় কৃষ্ণ একটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি। যদিও তিনি সেই সময় অফসাইডে ছিলেন। তবে বেঙ্গালুরুর রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছুক্ষণ পরেই এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। কর্নার থেকে বেঙ্গালুরু বক্সে বল ভাসান হুগো বুমোস। দুরন্ত হেডে গোল করেন শুভাশিস। বিপক্ষ গোলকিপার গুরপ্রীতের কিছু করার ছিল না।
তবে সমতা ফেরাতে বেশি সময় লাগেনি বেঙ্গালুরুর। তিন মিনিট পরেই শুভাশিস ফাউল করেছিলেন বক্সে। পেনাল্টি থেকে বেঙ্গালুরুর হয়ে সমতা ফেরালেন ক্লেটন সিলভা। এরপর আক্রমণের ঝড় তুলেছিল বেঙ্গালুরু। তার পুরস্কারও পায় তারা। ৯ মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন কাশ্মীরের ফুটবলার দানিশ ফারুক। তাঁর গোলে যেন অনেকটা শুভাশিসেরই ছায়া। একই ভাবে কর্নার থেকে হেড করে এটিকে মোহনবাগানের জালে বল জড়ালেন। তাঁকে সবুজ-মেরুনের কোনও ডিফেন্ডারই মার্ক করেননি।
তবু লড়াই ছাড়েনি সবুজ-মেরুন। প্রতি আক্রমণে এ বার গোল তুলে নেয় তারা। মাঝ মাঠ থেকে কিছুটা বল এগিয়ে নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণ পাস দিয়েছিলেন বুমোসকে। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডারদের পিছনে ফেলে গুরপ্রীতের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধেই চার গোল হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে টান টান উত্তেজনামূলক খেলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সমর্থকরা। তাদের হতাশ হতে হয়নি। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু ৭২ মিনিটে সব এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্ডারকে টপকে গোল করেন প্রিন্স ইবারা। ম্যাচের শেষ দিকে দু’দলই তেড়েফুড়ে আক্রমণ করলেও লাভ হয়নি।