অনুশীলনে পর্চে ছবি টুইটার
টানা ছয় ম্যাচে জয় আসেনি এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এ বারের আইএসএল-এ একমাত্র তারাই এখনও কোনও ম্যাচ জেতেনি। সেই দশা কি শুক্রবার কাটবে? ফতোরদায় শুক্রবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার আগে জয়ের ভাবনাই ঘোরাফেরা করছে এসসি ইস্টবেঙ্গলে।
তবে পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে চিন্তা একটাই। তা হল, প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিল। আইজলকে আই লিগ জেতানো কোচ লাল-হলুদের সঙ্গে ভালই পরিচিত। যদিও তিনি যাঁদের তৈরি করেছিলেন, তাঁদের কেউই প্রায় এখনকার দলে নেই। তবু পুরনো দলকে নিজের অস্তিত্ব বোঝাতে মরিয়া থাকবেন মুম্বইয়ের কোচ। যে ভাবে তৎকালীন ইস্টবেঙ্গল তাঁকে ছেঁটে ফেলেছিল, তা এখনও মাথায় রয়েছে খালিদের।
লিগ তালিকায় দু’টি দলই একে অপরের প্রতিবেশী। এগারো নম্বরে থাকা এসসি ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ৩। এক ধাপ উপরে থাকা নর্থইস্টের পয়েন্ট ৪। লিগতালিকায় উপরে উঠতে দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
এমতাবস্থায়, ফুটবলারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার কাজ করছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস। তবে আশা জাগিয়েছেন, শুক্রবার গোলের নীচে ফিরতে পারেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। এমনকী রক্ষণে আদিল খানকেও দেখা যেতে পারে। ম্যাচের আগে দিয়াস বলেছেন, “আমরা নিজেদের উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দলের ছেলেদের মানসিকতা যথেষ্ট ভাল। বিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাও আছে। এর আগেই আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি।” তাঁর সংযোজন, “সমস্যাটা শুধু শারীরিক দিক থেকে নয়, দলের সব কিছু নিয়েই ভাবতে হচ্ছে। কৌশল, টেকনিকের সঙ্গে শারীরিক দিকও। অনেক কিছু নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আমরা প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি শুরু করেছি দেরিতে। সেই কারণেই শারীরিক অবস্থা এই জায়গায় দাঁড়িয়ে।”
তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে শ্রদ্ধাশীল দিয়াস। বলেছেন, “ম্যাচ চলাকালীন বেশি ভুল করলে চলবে না। ভুলে গেলে চলবে না, ওরা গত মরশুমে সেরা চারের মধ্যে ছিল। এ বছর ওদের শুরুটা ভাল হয়নি। কালকের ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই হতে পারে।”
নর্থইস্ট এই ম্যাচে পাবে না দেশর্ন ব্রাউনকে। অনিশ্চিত খাসা কামারাও। তবু খালিদের মুখে প্রত্যয়। জানালেন, শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত লড়বে দল।