আইএসএল নিয়ে সংশয় ফাইল ছবি
যত দিন যাচ্ছে আইএসএল-এ করোনার প্রকোপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাঁচটি দল কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আইএসএল কী ভাবে হবে, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যদিও আইএসএল-এর আয়োজকরা ম্যাচ বাতিল করার পক্ষপাতী নন।
এটিকে মোহনবাগান গত ৭ দিন ধরে কড়া নিভৃতবাসে রয়েছে। অনুশীলন বাতিল হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলেরও। তারাও কড়া নিভৃতবাসে রয়েছে। শুক্রবার বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের আগে প্রথাগত সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দিয়েছে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ রয়েছে। তবে যা পরিস্থিতি তাতে সেই ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। এফসি গোয়া গত ১২ দিন ঘরে হোটেলে বন্দি রয়েছে। ওড়িশা এফসি-র অনুশীলনও বন্ধ। যদিও আইএসএল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা এখনই নেই আয়োজকদের।
প্রত্যেক দিনই আইএসএল-এ একের পর এক দলের কারওর না কারওর করোনা ধরা পড়ছে। গত সপ্তাহে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ওড়িশা এফসি-র ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। দুই দলকেই কড়া নিভৃতবাসে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের। একই অবস্থা বেঙ্গালুরুর। তাদের সাপোর্ট স্টাফদের একজনের করোনা হওয়ায় অনুশীলন বন্ধ রাখা হয়েছে। শোনা গেছে যে হোটেলে ফুটবলাররা রয়েছেন সেই হোটেলের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত।
জৈবদুর্গে থাকা দলের চার ফুটবলারের করোনা হওয়া সত্ত্বেও বুধবার ওড়িশা এফসি খেলেছে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। পজিটিভ হওয়া ফুটবলারদের মধ্যে একজন মঙ্গলবার এবং বাকি তিনজন ম্যাচের কিছুক্ষণ আগে ধরা পড়েন। সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য ওড়িশাকে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার কোচিং স্টাফের সদস্য নয় এমন দু’জনের করোনা ধরা পড়ে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হোটেলের একজন কর্মীর করোনা হয়েছে।
এফসি গোয়ার ফুটবলাররা গত ১২ দিন ধরে কড়া নিভৃতবাসে রয়েছেন। শুধুমাত্র অনুশীলনের জন্যই তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। একটি টিম বাসে মাত্র ৮ জন ফুটবলার যেতে পারছেন। গোয়ার ফুটবল ডিরেক্টর রবি পুস্কুর সম্প্রতি একটি টুইটে জানিয়েছেন, ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সদস্যরা যে পরিমাণে আত্মত্যাগ করছেন দলের স্বার্থে, তা সম্ভবত আগে কখনও দেখা যায়নি।
আইএসএল যেখানে হচ্ছে, সেই গোয়াতেও দিনের পর দিন করোনার প্রকোপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবারই সে রাজ্যে ৩৭২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এখনও পর্যন্ত একদিনে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেটাই। যদিও আইএসএল-এর আয়োজকরা ম্যাচ বাতিল করার পক্ষপাতী নন। যদি কোনও দলের ১৫ জন ফুটবলার না থাকে তা হলে ম্যাচ অন্য কোনওদিন করা হতে পারে। যদি দু’দলেরই ১৫ জন করে ফুটবলার না থাকে, সে ক্ষেত্রে উভয় দলকে একটি করে পয়েন্ট দেওয়া হবে।