সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র
খেলার শুরুতেই বোঝা গিয়েছিল শেষটা কী হতে চলেছে। প্রথমার্ধের শেষে রাহুল কে পি-র গোলে কিছুটা আশা তৈরি হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় ফুটবলারদের মাটি ধরিয়ে দিল চিন। শুধু দ্বিতীয়ার্ধেই চার গোল করল তারা। এশিয়ান গেমসের প্রথম ম্যাচেই চিনের কাছে ১-৫ গোলে হারলেন সুনীল ছেত্রীরা। প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা সুনীল ছেত্রীদের।
দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার সুনীল ও সন্দেশ জিঙ্ঘনকে শুরু থেকেই নামিয়েছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। তার পরেও শুরু থেকে চিনের গতিশীল ফুটবলের সামনে পিছিয়ে পড়ে ভারত। প্রথম ১০ মিনিটেই ভারতের গোল লক্ষ্য করে তিনটি শট নেয় চিন। দু’বার গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল তারা। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি চিন।
ভারত প্রতি আক্রমণের উপর নির্ভর করে ফুটবল খেলছিল। ১৪ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকেই বক্সের বাইরে বল পান সুনীল। সেখান থেকেই শট নেন তিনি। বল একটুর জন্য বার উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। তার তিন মিনিট পরেই অবশ্য গোল করে চিন। কর্নার থেকে ফিরতি বলে গোল করেন গাও তিয়ানি। ২৩ মিনিটের মাথায় গুরমীতের ফাউলে পেনাল্টি পায় চিন। যদিও অধিনায়ক ঝু চেনজির শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন গুরমীত। ভারতকে খেলা রাখেন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতা ফেরায় ভারত। ডান প্রান্তে বল ধরে গতিতে চিনের ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করেন রাহুল। বিরতিতে ১-১ গোলে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ভারতকে দাঁড়াতে দেয়নি চিন। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। টপ বক্স থেকে গুরমীতকে পরাস্ত করে গোল করেন দাই ওয়েইজুন। সেই শুরু। তার পর যত সময় গড়াল তত দাপট দেখাল চিন। ভারতীয় ফুটবলারেরা যে গতি ও দমে মার খাচ্ছেন তা স্পষ্ট বোঝা গেল। শুরু থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত একই গতিতে আক্রমণ করে গেল চিন। ৭২ ও ৭৫ মিনিটে জোড়া গোল করলেন তাও কিয়াংলং। দু’টি ক্ষেত্রেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল ভারতের রক্ষণ।
১-৪ পিছিয়ে পড়ার পরে আর ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না ভারতের। কিন্তু তখনও গোল করার তাগিদ দেখাচ্ছিল চিন। তার ফলও পেল তারা। সংযুক্তি সময়ে দলের পঞ্চম গোল করেন হাও ফেং। ১-৫ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে ভারত। বৃহস্পতিবার এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত।