সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র
জঘন্য মাঠে জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার হল ভারত। মালয়েশিয়ার ঘরের মাঠে তাদের কাছে হেরে মারডেকা কাপ থেকে বিদায় নিতে হল সুনীল ছেত্রীদের। গোটা ম্যাচ ধরে টান টান লড়াই হল। কিন্তু মালয়েশিয়াকে টেনে খেলালেন রেফারি। ভারতের ন্যায্য গোল দেওয়া হল না। তার সুবিধা নিল মালয়েশিয়া। ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠল তারা। খালি হাতে ফিরতে হল ভারতকে।
খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ভারত। বক্সের বাইরে থেকে রোহিত কুমারের শট পোস্টে লেগে ফেরে। দু’দলই গতিশীল ফুটবল খেলা শুরু করে। ৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। গোল করেন ডিয়োনজোহান। ভারতও ছাড়ার পাত্র ছিল না। ১৪ মিনিটেই সমতা ফেরান মহেশ নাওরেম সিংহ। ডান প্রান্ত ধরে ছাংতেকে বল দেন নিখিল পুজারী। ছাংতে বক্সে ক্রস করেন। গোল করেন মহেশ। ২০ মিনিটের মাথায় আবার এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। বক্সের মধ্যে ড্যারেনকে ফাউল করেন পুজারী। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আরিফ আইমান। ১০ মিনিট পরে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন আরিফ। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। যদিও বিরতির আগে আরও একটি গোল করে মালয়েশিয়া। ভারতীয় ডিফেন্ডারদের ভুল থেকে গোল করেন ফয়জল। ১-৩ গোলে পিছিয়ে সাজঘরে যায় ভারত।
প্রথমার্ধে সুনীল তেমন নজর না কাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভাল খেলা শুরু করেন তিনি। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ভারত। তার ফলও মেলে। প্রান্ত ধরে উঠে বক্সের মধ্যে ছাংতের জন্য বল বাড়ান মহেশ। ছাংতে সুনীলের জন্য বল সাজিয়ে দেন। গোল করেন সুনীল। ৫৭ মিনিটের মাথায় খেলার ফল হওয়ার কথা ছিল ৩-৩। বক্সে ঢুকে প্রথম পোস্ট দিয়ে শট মারেন ছাংতে। গোলরক্ষক বল বাঁচাতে পারেননি। বল গোললাইন অতিক্রম করে যায়। তার পরে বল বাইরে বার করে দেন মালয়েশিয়ার ডিফেন্ডার। কিন্তু রেফারি গোল দেননি। ভারতের ন্যায্য গোল বাতিল হয়।
৬১ মিনিটের মাথায় উল্টোদিকে ব্যবধান বাড়ায় মালয়েশিয়া। গোল করেন কর্বিন। খেলা যত গড়াচ্ছিল তত চাপ বাড়াচ্ছিল ভারত। ৭২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সাহাল আবদুল সামাদ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি।
তবে গোটা ম্যাচে মাঠ ভোগাল ভারতীয় ফুটবলারদের। মালয়েশিয়ার সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতের নেই। বার বার ঘাস উঠে এল। এক বার কর্নার নিতে গিয়ে পড়ে গেলেন সাহাল। নিজেদের শরীরের ভারসাম্য রাখতে বার বার সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। কেউ বড় চোট পেতে পারতেন। মাঠ ও রেফারি নিয়ে অসন্তুষ্ট দেখাল ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচকেও। শেষ পর্যন্ত লড়াই করল ভারত। তার পরেও হেরেই মাঠ ছাড়তে হল তাদের।