করিম বেঞ্জেমা।
কাতারে বিশ্বকাপ বোধনের আগেই যেন বিসর্জনের বিষাদ ফ্রান্স শিবিরে। অনুশীলনে চোট পেয়ে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দল থেকে ছিটকে গেলেন বালঁ দ্যর-জয়ী করিম বেঞ্জেমা।
দোহার প্রাণকেন্দ্রে প্রাসাদের মতো একটি হোটেলে রয়েছে ফ্রান্স দল। রবিবার সকাল থেকেই হোটেলের বাইরে উদ্বিগ্ন মুখে দাঁড়িয়েছিলেন সমর্থকেরা। আশা করেছিলেন, ফরাসি শিবির থেকে জানানো হবে, করিমের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে না পারলেও, পরে তিনি খেলবেন। ভাবতেও পারেননি, শেষ পর্যন্ত ছিটকেই যাবেন ফরাসি তারকা।
বেঞ্জেমার বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা অবশ্য বাড়ছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। অক্টোবর থেকেই ঊরুর মাংসপেশির চোটে ভুগছেন তিনি। রিয়ালের হয়ে শেষ ছ’টি ম্যাচে আধ ঘণ্টার বেশি খেলতে পারেননি ফরাসি তারকা। যদিও সেই সময়ে রিয়াল ম্যানেজার কার্লো আনচেলোত্তি জানিয়েছিলেন, বেঞ্জেমার কোনও সমস্যা নেই। তিনি সুস্থ আছেন। বিশ্বকাপে সেরা ছন্দেই দেখা যাবে তাঁকে। ফ্রান্সের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বেঞ্জেমা। কাতার পৌঁছে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন তাঁর শেষ হয়ে গেল শনিবার মাঠে নেমে ঊরুর পেশিতে ফের চোট পাওয়ায়।
বালঁ দ্যর-জয়ী ফরাসি তারকাকে রাতেই দোহার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা চোট পরীক্ষা করে জানান, ঊরুর মাংসপেশির তন্তু ছিঁড়েছে। কোনও অবস্থাতেই বেঞ্জেমার পক্ষে এই বিশ্বকাপে খেলা সম্ভব নয়।
বিশ্বকাপের দল থেকে চোটের কারণে পল পোগবা, এনগোলো কান্তে, প্রেসনেল কিমপেম্বে, ক্রিস্টোফার এনকুনকু ছিটকে গেলেও কোচ দিদিয়ে দেশঁ ভেঙে পড়েননি। কিন্তু দলের সেরা স্ট্রাইকারের বিদায়ে বিপর্যস্ত তিনি। অধিনায়ক (১৯৯৮) ও কোচ (২০১৮) হিসেবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করা দেশঁ বলেছেন, ‘‘করিমের জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এই বিশ্বকাপে নিজের জন্য লক্ষ্যও স্থির করেছিল ও।’’ হতাশ ফরাসি তারকা নিজেও। যদিও বেঞ্জেমা বলেছেন, ‘‘জীবনে আমি কখনও কোনও ব্যাপারে হাল ছেড়ে দিই না। আমার কাছে সবচেয়ে