— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সোমবার গভর্নিং বডির সভার পর বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে আইএফএ। ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আগামী দিনে কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে তারা। পাশাপাশি ফুটবলার ট্রান্সফার এবং চিকিৎসাজনিত কারণে খেলোয়াড় বদল করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে সংশোধন করা হয়েছে। পরের বছর কলকাতা লিগ থেকেই তা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আইএফএ।
আইএফএ জানিয়েছে, কোনও ক্লাব যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ম্যাচ গড়াপেটার চেষ্টা করে বা ফলাফলকে প্রভাবিত করে বা খেলার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তা হলে সেই ক্লাবের থেকে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাওয়া সব পয়েন্ট কেড়ে নেওয়া হবে। সেই ক্লাবকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি আইএফএ-র সব প্রতিযোগিতা থেকে অন্তত দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হবে অথবা স্থায়ী ভাবে আইএফএ-র অনুমোদন বাতিল করা হবে।
অপরাধ গুরুতর বলে বিবেচিত হলে যুক্ত থাকা খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা অথবা অপরাধে যুক্ত থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, নিঃসন্দেহ এবং বাধ্যতামূলক। প্রক্রিয়া সম্পর্কে অস্বচ্ছতা প্রমাণিত না হলে আবেদনের কোনও অধিকার নেই।
এ ছাড়া, চিকিৎসাজনিত কারণে ফুটবলার পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাবকে মেডিক্যাল কমিটিতে সরকারি ভাবে আবেদন জমা দিতে হবে। সেটি দিতে পারেন একজন স্বীকৃত চিকিৎসক। সমস্ত প্রাসঙ্গিক মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং রিপোর্ট-সহ খেলোয়াড়ের অক্ষমতা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। কোনও অস্পষ্টতা বা খামতি থাকলে আবেদন তখনই বাতিল হবে। আইএফএ-র মেডিক্যাল কমিটি কোনও ফুটবলারকে পরীক্ষার জন্য ডাকতেই পারে। হাজির হওয়া বাধ্যতামূলক। যদি তিনি অংশ না নেন বা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যে প্রতারণা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহের চেষ্টা করেন, তবে ফুটবলার পরিবর্তনের অনুরোধ খারিজ করা হবে এবং সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও, প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাবগুলির ক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রান্সফারের জন্য বাধ্যতামূলক ট্রান্সফার ফি হিসাবে ১৫,০০০ টাকা অথবা খেলোয়াড়ের চুক্তির মূল্য অনুযায়ী ২০%-এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি ধার্য করা হবে। প্রথম ডিভিশন ক্লাবগুলির জন্য ১০,০০০ টাকা এবং অন্যান্য বিভাগের জন্য ৩,০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই ফি আলোচনা-সাপেক্ষ নয়। খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ টাকা দিতে হবে। একইসঙ্গে, বাধ্যতামূলক নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।