ভবিষ্যতের রেফারিদের সঙ্গে সচিব জয়দীপ। নিজস্ব চিত্র
বাংলা থেকে আরও বেশি রেফারি তুলে আনার উদ্যোগ নিল আইএফএ। কলকাতা রেফারি সংস্থার (সিআরএ) সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নতুন একটি অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চলেছে তারা, যেখান থেকে আগামিদিনে তরুণ এবং শিক্ষিত রেফারি, ম্যাচ কমিশনার এবং ম্যাচ আধিকারিক তুলে আনার ভাবনা রয়েছে তাদের। স্থানীয় বিভিন্ন লিগ মিলিয়ে ভবিষ্যতে ম্যাচের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে চলেছে। এই ম্যাচগুলির জন্য যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেফারি এবং আধিকারিক পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিআরএ-র তরফে উদয়ন হালদার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “গোটা ব্যবস্থাকে আমরা চারটে অঞ্চলে ভাগ করেছি। কলকাতা অঞ্চলে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা। এ ছাড়া ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে ১৬ এপ্রিল থেকে ৯ দিনের একটি শিবির শুরু হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া তাতে থাকছে। বর্ধমানে শিবির হচ্ছে বর্ধমান এবং বীরভূমকে নিয়ে। নদীয়ার চাকদহ স্টেডিয়ামে এপ্রিলের শেষ দিকে শিবির আয়োজন হবে। সেখানে নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ অঞ্চল থেকে ছেলেদের প্রশিক্ষিত করা হবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে শিবির করা হবে। সেখান থেকে দীপু রায়, সুনীতা বর্মনের মতো রেফারিরা উঠে এসেছেন। জুন মাসে পরীক্ষা হবে। তার আগে ফিটনেস পরীক্ষা হবে।”
তিনি জানান, ভারতের ৬ জন শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষক দায়িত্বে থাকবেন নতুনদের শেখানোর। তাঁরা হলেন সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, পীযূষ বিশ্বাস, সুব্রত দাস, তুষারকান্তি গুহ, অজিত দত্ত এবং সুনন্দ বসু। ফিটনেস প্রশিক্ষকও থাকবেন ৩ জন। এ ছাড়া হরিসাধন ঘোষ, দেবাশিস মিশ্র থাকবেন।
আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “বাংলায় ফুটবলের পরিধি আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। কন্যাশ্রী কাপ দুর্দান্ত ভাবে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাইছি মহিলাদের লিগে মহিলা রেফারি দিয়েই পরিচালনা করাতে। সব মিলিয়ে সারা বছরে ১৪০০-১৬০০ ম্যাচ খেলা হবে। এই বিপুল ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য প্রচুর রেফারি দরকার। এই অ্যাকাডেমির মাধ্যমে নতুন রেফারিদের তুলে আনার কাজ শুরু করতে চাই। জেলার ম্যাচে জেলার রেফারিদের দিয়েই খেলানোর চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি বাংলা থেকে আগামিদিনে অনেক রেফারি উঠে আসতে পারে।”