সম্প্রতি পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে শাকিরার। ছবি: টুইটার
আরও এক ঘরের ছেলেকে পথ দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা। তিনি জেরার্ড পিকে। বান্ধবী শাকিরার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই তাঁকে না রাখার বার্তা দিয়েছিলেন বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ।
সঙ্গীতশিল্পী শাকিরার সঙ্গে যে দিন বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন, তার আগের দিনই অন্য এক বিচ্ছেদের বার্তা পেয়েছিলেন পিকে। অনুশীলনের পর বার্সেলোনা কোচ জাভি প্রাক্তন সতীর্থকে ডেকে বলেন, তাঁকে আর প্রয়োজন নেই। কারণ, পিকে আর তাঁর পরিকল্পনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। পিকে চাইলে এই বছরই অন্য কোথাও যেতে পারেন।
১৯৯৭ সালে বার্সেলোনা অ্যাকাডেমিতে এসেছিলেন ১০ বছরের পিকে। মাঝে ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলেছেন। এ ছাড়া গোটা ফুটবল জীবন পিকে কাটিয়েছেন বার্সেলোনাতেই। সেই পিকের বিরুদ্ধেই জাভির অভিযোগ, মাঠে তাঁর ভূমিকা অপেশাদার। শারীরিক সক্ষমতাও ক্রমশ কমছে। মাঠের বাইরে অন্য বিষয়েই এখন বেশি আগ্রহ ৩৫ বছরের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের।
২০২৪ সাল পর্যন্ত পিকের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বার্সেলোনার। এক সময় বার্সেলোনার প্রথম একাদশে জাভির সঙ্গে খেলেছেন পিকে। প্রাক্তন সতীর্থের মুখে এমন কথা শুনে প্রাথমিক ধাক্কা খান পিকে। স্পেনের সব বয়সভিত্তিক দলের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা পিকে অবশ্য ক্লাব ছাড়া নিয়ে কিছু জানাননি। জাভির মতামত জানার পর বার্সেলোনাও তাঁকে রাখতে রাজি নয়। মাঝ পথে চুক্তি ভঙ্গ করলে পিকে-কে বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বার্সেলোনাকে। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষের আশা, দীর্ঘ সম্পর্কের অবসান হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে। পিকে কোনও অন্যায় দাবি করবেন না। অনেক কম মূল্যেই সমঝোতা হবে।
শাকিরা পিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে সম্পর্ক শেষ করেছেন। কোচ তথা প্রাক্তন সতীর্থও তাঁর বিরুদ্ধে অপেশাদার মানসিকতার অভিযোগ এনেছেন। পিকে কি সত্যিই বদলে গিয়েছেন? পর পর দুই ঘটনায় সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।