বিশ্বকাপ চলাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তার পরেও ফিফা পুরস্কার দিয়েছে তাঁকে। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জেতার পরে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের মঞ্চেও জয়জয়কার আর্জেন্টিনার। ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন লিয়োনেল মেসি। কিন্তু শুধু মেসি নন, পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক থেকে শুরু করে কোচ। এমনকি আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও পুরস্কার জিতেছেন।
এ বছর ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ গোলরক্ষক হয়েছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মেসিদের বিশ্বকাপ জেতার নেপথ্যে মার্তিনেসের বড় ভূমিকা রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস ও ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে মার্তিনেসের দস্তানা। গোটা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলায় বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। এ বার পেলেন ফিফার পুরস্কার। কিন্তু বিশ্বকাপে একের পর এক বিতর্কেও জড়িয়েছেন মার্তিনেস। কোয়ার্টার ফাইনালে জেতার পরে নেদারল্যান্ডসের কোচ সুই ফান হালকে কটূক্তি থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়ে অশালীন ভঙ্গি—বিশ্বকাপের সেরা বিতর্কিত চরিত্র তিনি। তার পরেও অবশ্য তাঁকে পুরস্কার দিয়েছে ফিফা।
বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। তিনি যখন আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন এই তরুণ কোচের উপর ভরসা রাখতে পারেননি অনেকে। কিন্তু ২০২২ সালে দলকে তিনটি ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি। প্রথমে কোপা আমেরিকা। তার পরে ফাইনালিসিমা। শেষে বিশ্বকাপ। তাঁকেও স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা।
বিশ্বের সেরা সমর্থকদের পুরস্কারও জিতেছে আর্জেন্টিনা। কাতারে অন্য সব দেশের তুলনায় আর্জেন্টিনার সমর্থক বেশি ছিলেন। মেসিদের প্রত্যেক খেলায় স্টেডিয়াম ভরিয়েছেন তাঁরা। মেসি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে বড় কৃতিত্ব সমর্থকদের। এ বার ফিফাও সেটা স্বীকার করে নিল।
ফিফার বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার হয়েছেন অ্যালেক্সিয়া পুটেলাস। স্পেন ও বার্সেলোনার ফুটবলার তিনি। ইংল্যান্ড ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ম্যারি ইয়ার্পস জিতেছেন মহিলাদের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের কোচ সারিনা উইগম্যান মহিলাদের সেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন। বছরের সেরা গোল করার জন্য পুসকাস পুরস্কার পেয়েছেন পোল্যান্ডের মার্সিন ওলেক্সি। ফিফার ফেয়ার-প্লে পুরস্কার পেয়েছেন জর্জিয়ার লুকা লোচোসভিলি।