লুই সুয়ারেস। —ফাইল চিত্র।
গত মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন লুইস সুয়ারেস। এ বার তাঁর নিশানায় দলের কোচ। উরুগুয়ে ফুটবল দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কোচ মার্সেলো বিয়েলসাকে দায়ী করলেন লুইস সুয়ারেস। তাঁর অভিযোগ, দলে ভাঙল ধরিয়েছিলেন কোচ। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, অনেকে ফুটবলারই নাকি অবসরের কথা ভাবছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে দলের অন্দরের কথা তুলে ধরেন সুয়ারেস। উরুগুয়ের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলের মালিক বলেন, “আমি সমর্থকদের অনুরোধ করব দল খারাপ খেললে ফুটবলারদের দায়ী করবেন না। বিয়েলসা গোটা দলে ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। ফুটবলারদেরও সহ্যের একটা সীমা থাকে। অনেক সতীর্থ আমাকে বলেছে যে তারা অবসরের কথাও ভাবছে। কোপা আমেরিকার পরেই সরে যেতে চায় তারা।” কোপাতেও সাফল্য পায়নি উরুগুয়ে। তৃতীয় স্থানে শেষ করে তারা।
কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও বিয়েলসার সব কথা অবশ্য জানাননি সুয়ারেস। তিনি জানিয়েছেন, দলের পরিবেশ যাতে এর থেকে বেশি খারাপ না হয় তার জন্যই মুখ বন্ধ রাখছেন তিনি। সুয়ারেস বলেন, “আমরা সকলেই জানি দলের নেতা বা অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সঙ্গে বিয়েলসা কথা বলতে চান না। আরও অনেক ঘটনা হয়েছে। কিন্তু দলের কথা ভেবে আমি চুপ থাকছি। আমি চাই না সমস্যা আরও বাড়ুক।”
তবে মিডফিল্ডার আগুস্তিন কানোবিয়োর সঙ্গে যা ঘটেছে তা মেনে নিতে পারেননি সুয়ারেস। কোপা আমেরিকার ২৬ জনের দলে ছিলেন আগুস্তিন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে নাকি বল বয়ের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। সুয়ারেস বলেন, “২৬ জনের দলে থাকা আগুস্তিনকে আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়নি। ওর সঙ্গে বল বয়ের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি বুঝতে পারছি আগুস্তিন কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। ওর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
পুরো দলের পরিবেশ বিয়েলসা খারাপ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সুয়ারেস। তাঁর কথায়, “স্টাফদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারতাম না। কোচ কারও সঙ্গে সামান্য সৌজন্যও দেখাতেন না। খুব খারাপ লাগত। পুরো দলের পরিবেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।” সুয়ারেসের এই অভিযোগের পরে অবশ্য উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থা এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।