মিকেলার তৃতীয় আত্মঘাতী গোল। ছবি: রয়টার্স
যে কোনও খেলাতেই হ্যাটট্রিক করতে পারলে খুশি হন খেলোয়াড়রা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মিকেলা মুর আমেরিকার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেও ভেঙে পড়েছেন হতাশায়। আন্তর্জাতিক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেও হতাশা! হ্যাঁ, তেমনই ঘটেছে।
লিভারপুলের মহিলা দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মিকেলা। নিউজল্যান্ডের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম ভরসা। তিনিই আমেরিকার বিরুদ্ধে শি-বিলিভস কাপের খেলায় প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেন। তাও তাঁকে তুলে নেন কোচ জিকা ক্লিমকোভা। জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার জন্য নয়, দলকে আরও লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে।
মিকেলা মুর। ছবি: এএফপি
কী এমন করেছিলেন মিকেলা? মাত্র ৩৬ মিনিটেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছিলেন বটে, কিন্তু তাঁর সব গোলই আত্মঘাতী। নিজেদের জালেই পর পর তিন বার বল জড়ান মিকেলা। এর পর আর লিভারপুল ডিফেন্ডারকে মাঠে রাখার সাহস পাননি নিউজিল্যান্ডের মহিলাদের জাতীয় দলের কোচ। পরিবর্তে ৪১ মিনিটে মাঠে নামান ২৫ বছরের রেবেকা স্কটকে। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। মিকেলার আত্মঘাতী হ্যাটট্রিকের জেরে কিউয়িদের আত্মবিশ্বাসে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫-০ ব্যবধানে জেতে আমেরিকা। শেষ দু’টি গোল অবশ্য কষ্ট করে করতে হয়েছে মার্কিন ফুটবলারদের। একটি করে গোল করেন অ্যাসলে হাচ এবং মাল্লোরি পাঘ। মিকেলার আত্মঘাতী হ্যাটট্রিকের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
মিকেলার হ্যাটট্রিক লজ্জার হলেও ফুটবল বিশ্বের আলোচনায় উঠে এসেছে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা গ্যারি লিনেকার ম্যাচের লাইভ স্কোর বোর্ড টুইট করে লিখেছেন, ‘অসামান্য কৃতিত্ব’।
নিউজিল্যান্ডের কোচ ক্লিনকোভা কিন্তু মিকেলার পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যে ফুটবলাররা খেলেছে, যে মানেরই খেলুক, তারা কঠিন এবং ভাল ম্যাচ খেলেছে। হ্যাঁ, মিকালের খুব কঠিন দিন গেল। অবশ্যই ও খুবই দুঃখিত এবং হতাশ। কিন্তু ও দারুণ মানুষ এবং খেলোয়াড় বলেই এই দলে রয়েছে। কঠিন সময়ে আমরা সকলেই ওর সঙ্গে রয়েছি।’’