গোল করার পরে (বাঁ দিক থেকে) আনোয়ার ও কামিংসের সঙ্গে উল্লাস সাদিকুর। ছবি: টুইটার
ডুরান্ডের সেমিফাইনালে গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান। রবিবার ফাইনালে আবার কলকাতা ডার্বি। ১৯ বছর পরে ডুরান্ডের ফাইনালে খেলতে নামবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার বিরুদ্ধে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। সেখান থেকে সমতা ফিরিয়ে তার পর জেতে তারা। যুবভারতীতে বাগানের জয়ের নেপথ্যে প্রধান পাঁচ কারণ কী কী?
মোহনবাগানের জয়ের পাঁচ কারণ—
১) সুযোগের ভাল ব্যবহার করেছে মোহনবাগান। দু’টি দলই গোল লক্ষ্য করে তিনটি করে শট মেরেছে। গোয়া গোল করতে পেরেছে একটি। মোহনবাগান দু’টি। সুযোগের বেশি ব্যবহার করতে পারার কারণেই ম্যাচ জিততে পেরেছে তারা।
২) প্রথমার্ধে গোয়ার চাপের মুখেও প্রতি আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে বাগান। প্রথমার্ধের শেষে বাগান যে পেনাল্টি পায় সেখানে অবদান সাহাল আব্দুল সামাদের। তিনি বল নিয়ে দ্রুত বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন। ফলে তাঁকে ফাউল করতে বাধ্য হন গোয়ার ফুটবলারেরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে বাগান।
৩) দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনায় বদল করেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। হুগো বুমোসকে তুলে আর্মান্দো সাদিকুকে নামান তিনি। বুমোস খেলতেই পারছিলেন না। তাঁর ভুলেই গোল খেয়েছিল বাগান। সাদিকু নামার পরে গোল করে বাগানকে এগিয়ে দেন। সেই গোলেই ম্যাচ জেতে সবুজ-মেরুন।
৪) এগিয়ে থাকার পরেও রক্ষণের ঝাঁপ পুরোপুরি বন্ধ করেননি ফেরান্দো। তিনি যেমন ব্রেন্ডন হামিলের মতো ডিফেন্ডারকে নামান তেমনই আক্রমণের জন্য নামান লিস্টন কোলাসোকেও। ফলে শেষ দিকে মোহনবাগানও আক্রমণ করছিল। বাগান রক্ষণকে সারা ক্ষণ চাপে থাকতে হয়নি।
৫) গোলরক্ষক বিশাল কাইথের হাত বাঁচিয়ে দিল বাগানকে। গোটা ম্যাচে বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংযুক্তি সময়ে জয় গুপ্তের হেড ঝাঁপিয়ে বাঁচানো। বিশাল হাত লাগাতে না পারলে সেটি গোল হত। তা হলেই খেলা গড়াত টাইব্রেকারে। কিন্তু তা হতে দেননি তিনি।