ডার্বি জিতে উল্লাস ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। ছবি: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ফেসবুক পেজ।
অবশেষে ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ বার ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি বড় ম্যাচ জিতেছিল লাল-হলুদ। তার পর একের পর এক ডার্বিতে হারতে হয়েছে তাদের। চলতি ডুরান্ড কাপে খাতায়-কলমে দুর্বল দল নিয়েও মোহনবাগানকে হারিয়েছে তারা।
ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জেতার নেপথ্যে প্রধান পাঁচ কারণ কী কী তা বিশ্লেষণ করল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) মোহনবাগান খাতায়-কলমে শক্তিশালী দল হলেও প্রথম থেকেই আক্রমণের পথে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একটা সময়ের জন্যও মনে হয়নি ড্র করার জন্য খেলছে তারা। সুযোগ কম তৈরি করতে পারলেও তার মধ্যেই কাজের কাজ করে দিয়েছেন নন্দকুমার। আক্রমণাত্মক ফুটবলেই মোহনবাগানকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
২) কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। মোহনবাগানের মাঝমাঠকে খেলতে দেননি তিনি। পায়ের জঙ্গল তৈরি করেছেন। ফাঁকা জায়গা দেননি। তার ফলে মাঝমাঠ দিয়ে তেমন আক্রমণই তৈরি করতে পারেনি বাগান। ফলে সুবিধা পেয়েছে লাল-হলুদ।
৩) ইস্টবেঙ্গলের দুই উইঙ্গার নন্দকুমার ও মহেশ নাওরেম সিংহ দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন। বার বার প্রান্ত ধরে উঠেছেন তাঁরা। বাগান রক্ষণকে চাপে রেখেছেন। ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠেই গোল করেছেন নন্দকুমার।
৪) লিস্টন কোলাসোকে আটকে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। দায়িত্ব ছিল দলের অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরার উপর। নিজের দায়িত্ব ভাল ভাবে পালন করেছেন খাবরা। লিস্টন আটকে যাওয়ায় মোহনবাগানের আক্রমণ দানা বাঁধল না।
৫) দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরে রক্ষণ আরও মজবুত করে দিলেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গল গোলের সামনে ফুটবলার বাড়িয়ে দিলেন তিনি। ফলে অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারল না মোহনবাগান।