প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতেছেন লিয়োনেল মেসি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোনাল্ডো নাজারিয়ো। —ফাইল চিত্র
তিনি নিজে বিশ্বকাপ জিতেছেন। তাই বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতিটা জানেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরে তাই চুপ করে থাকতে পারেননি ব্রাজিলের রোনাল্ডো নাজারিয়ো। লিয়োনেল মেসির খেলায় মুগ্ধ তিনি। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতায় নিজের শুভেচ্ছাবার্তায় প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরে ইনস্টাগ্রামে মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোনাল্ডো। তিনি লিখেছেন, ‘‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফুটবল নিয়ে লড়াই থাকলেও আমি ব্রাজিলের প্রচুর মানুষকে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে দেখেছি। শুধু তাই নয়, ব্রাজিল ও গোটা বিশ্বের প্রচুর মানুষ মেসির জন্য গলা ফাটিয়েছে। ফুটবলের অন্যতম সেরা প্লেয়ারের হাতে এত দিন বিশ্বকাপ ট্রফিটা ছিল না। সেটা এ বার পূর্ণ হল। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।’’
তার পরেই মারাদোনার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন রোনাল্ডো। লিখেছেন, ‘‘আমি দেখতে পাচ্ছি, মারাদোনা স্বর্গে উল্লাস করছে। ও আজ সব থেকে খুশি। সেই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ দাঁড়িয়ে মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তোমাকে অভিনন্দন।’’
এর আগে শেষ বার ১৯৮৬ সালে মারাদোনার নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তার পরে দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষা। বার বার বিশ্বকাপে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। মেসি নিজেও চার বার বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছেন। তার মধ্যে ২০১০ সালে মারাদোনার কোচিংয়েও খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। মারাদোনা বার বার বলেছেন, মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান তিনি। কিন্তু বেঁচে থাকতে এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারলেন না তিনি। তাই মেসিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মারাদোনার কথাও টেনে আনলেন রোনাল্ডো।
বিশ্বকাপ জেতার পরে মাঠে পরিবারের সঙ্গে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে মেসিকে। মা, স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে হাসি মুখে জয় উপভোগ করছেন লিয়ো। পরে সাজঘরে আর্জেন্টিনার উল্লাসে দেখা গিয়েছে অচেনা আগ্রাসী মেসিকে। বিশ্বকাপটা কাছছাড়া করতেই চাইছিলেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। প্রতিটা মুহূর্তে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, কতটা আকুল ছিলেন এই ট্রফির জন্য। সাজঘরে ফিরে ট্রফি নিয়ে উঠে পড়লেন মাঝখানে রাখা টেবিলে। টেবিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা ছিল কয়েক বোতল অ্যালকোহলহীন বিয়ার। তার মাঝেই লাফালেন বেশ কিছুক্ষণ। দলের বাকিরা নীচে অধিনায়ককে ঘিরে লাফিয়েই যাচ্ছিলেন। তাঁকে দেখে টেবিলে উঠে পড়েন সতীর্থ লাউতারো মার্তিনেসও। নাচে-গানে বিশ্বকাপ জয়ের প্রতিটা মুহূর্তের স্বাদ পেতে চাইছিলেন তাঁরা।